নারদ মামলায় (Narada Scam) নয়া মোড়। সোমবার সকালে বিনা নোটিসেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং তৃণমূল-ত্যাগী কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের তরফে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ৪ জনের গ্রেপ্তারি। ঘটনার জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) খোদ ধর্ণা দেন নিজাম প্যালেসের অন্দরে। রাজ্যের শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা চূড়ান্ত বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সিবিআইয়ের (CBI) দপ্তরের বাইরেও। সামাজিক সুরক্ষাবিধি, লকডাউনের বালাই নেই! রাজ্যের এই চরম অতিমারী পরিস্থিতিতে যেখানে অক্সিজেন, হাসপাতালের বেডের জন্য হাহাকার, ভ্যাকসিনের জন্য উদভ্রান্ত হয়ে ফিরছে সাধারণ মানুষ, সেই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এমন পদক্ষেপকে বিজেপি চাণক্যের 'রাজনৈতিক চাল' হিসেবেই দেখছেন রাজনীতিকদের একাংশ। ভ্যাকসিন না দিয়ে কেন রাজনীতি চলছে? প্রশ্ন আমজনতার। সেই প্রেক্ষিতেই এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty), সাংসদ-অভিনত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty), তারকা নেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)-সহ আরও অনেকেই।
কোভিড পরিস্থিতিতে যেখানে মানুষের প্রাণ বাঁচানো দায় হয়ে উঠেছে, সেখানে এই মুহূর্তে মমতা সরকারের মন্ত্রী-বিধায়কদের গ্রেপ্তারি কি খুব জরুরী ছিল? প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার সাধারণ মানুষের সিংহভাগ। সপাটে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। "সিবিআই এখন? কেন তাঁরা কি সঙ্গে করে কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছেন?"
অন্যদিকে পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তের মন্তব্য, "আমাদের আগে ভ্যাকসিন দিন। বেঁচে থাকলে তারপর না হয় সিবিআই পাঠাবেন। কিন্তু ভ্যাকসিন পাঠান প্রথমে।" সেই মন্তব্যে সায় দিয়েছেন ব্যারাকপুরের সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীও। পাশাপাশি লকডাউনে কোনওরকম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না করে নিজস্ব কেন্দ্রের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মাথা ঠান্ডা রাখার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে সায়নী বরাবরই স্পষ্টবাদী। মোদীর সেন্ট্রাল ভিস্তা, রাজ্যের বিজেপি বিধায়কদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে যিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, এবারেও নারদাকাণ্ডের গ্রেপ্তারি নিয়ে মোদীকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না। হুঁশিয়ারি ছুঁড়ে বললেন, "বাংলা দখল করতে না পেরে বিজেপির দুই কাণ্ডারী একেবারে মত্ত হয়ে উঠেছেন। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শাসন চালানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু বাংলার মানুষ ভোটবাক্সে সেই ইচ্ছে জুতোর তলায় ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছেন। এখন আবার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দেখে নেব!"