New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/12/xVsfxF06K7PIRI4rhe6a.jpg)
যা বললেন রাজ এই প্রসঙ্গে...
Raj Chakroborty on War Related Pictures: বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর কাছেই প্রশ্ন রাখা হয়। তিনি পুলিশ নিয়ে ছবি করেছেন, ক্রাইম থ্রিলার নিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু, যুদ্ধ সংক্রান্ত ছবি বাংলা বিনোদুনিয়াতে নেই কেন?
যা বললেন রাজ এই প্রসঙ্গে...
Raj Chakraborty on War Related Picture: ভারতীয় সিনেমায় বহু ছবি এমন আছে, যেগুলো দেখলে দেশপ্রেম বোধ হওয়া স্বাভাবিক। বিশেষ করে সীমান্তে যুদ্ধ এবং ভারতীয় সেনার আত্ম বলিদানের সেসব গল্প, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে যেমন, তেমনই রক্ত গরম করেছে তাঁদের। কিন্তু, ভারতীয় প্রেক্ষাপটে অসংখ্য যুদ্ধের ছবি থাকলেও টলিপাড়ার বুকে কেন এধরনের ছবি নেই? সেই একসময়, গুমনামী ছবির মাধ্যমেই সৃজিত বাঙালিকে দেশপ্রেমের টানে হলে নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর দেবকে দেখা গিয়েছিল বাঘা যতীন হিসেবে পর্দায় এসেছিলেন, ফের একবার ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের রগরগে ইতিহাস দেখিয়ে কাঁপিয়েছিলেন তিনি। চোখে জল এসেছিল দর্শকদের। কিন্তু, যুদ্ধ নিয়ে কেন সিনেমা হয়না এই বাংলায়?
এই প্রসঙ্গেই বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর কাছেই প্রশ্ন রেখেছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। তিনি পুলিশ নিয়ে ছবি করেছেন, ক্রাইম থ্রিলার নিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু, ভারতের জাতীয় স্তরে যে ধরনের যুদ্ধ সংক্রান্ত ছবি আছে, বাংলা বিনোদুনিয়াতে নেই কেন? এই প্রসঙ্গেই তিনি বেশ কটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। পরিচালকের কথায়, "প্যান ইন্ডিয়াতে যুদ্ধ নিয়ে ছবি করা খুব সহজ কারণ, বেশিরভাগটাই পাকিস্তানকে ঘিরে ( India-Pakistan Ceasefire ) হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে হয়েছে। আমাদের এখানে অর্থাৎ বাংলায় একমাত্র প্রাসঙ্গিক হতে পারে মুক্তিযুদ্ধ। তাছাড়া, আমাদের এখানে যুদ্ধ নিয়ে ছবি করার মতো স্পেস নেই। দেশভাগের আগের সময়টা কিন্তু যুদ্ধ নয়। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক সবসময় থেকেছে। তাই, বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে বিচার করলেও, আমরা এটা কোনওদিন দেখাতে পারব না, যে পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে ছোটখাটো হলেও একটা টাসেল চলছে। হয়তো, আগামী দিনে সেটা ঠিক হয়েও যাবে। তবে, আমাদের ন্যাশনাল ছবির ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই ধরনের দ্বন্দ্বমূলক এবং ছবি বানানো যায়। এগুলো, বেশিরভাগটাই সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি। যেগুলো মানুষকে নাড়া দিয়ে গিয়েছে। বাংলাতে সেই সুযোগ কম।"
এরপর, তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যদি এখানে যুদ্ধ ভিত্তিক ছবি বানানো হয়, তাহলে তিনি কি হিরো হিসেবে বাংলার কোনও অভিনেতাকে বেছে নিতে চান, নাকি বলিউডের হেভিওয়েট কাউকে? পরিচালক বলেন, "এটা কিন্তু বলতেই হয়, আমাদের কলকাতাতে যে ধরনের অভিনেতা অভিনেত্রীরা রয়েছেন, তাঁরা অনেকের থেকে অনেক ভাল। এবং যুদ্ধ সংক্রান্ত সিনেমায় কাজ করার মতো তারকা আমাদের আছেন। আমরা কোনোদিন সেধরনের বিষয় পছন্দ করিনি, তাই তারা পরীক্ষা দিতে পারেননি। আমার বিশ্বাস, এমন অনেকেই আছেন যারা এধরনের চরিত্রে ভাল করবেন। ন্যাশনাল যেকোনও অভিনেতাকে তাঁরা পাল্লা দিতে পারেন। কিন্তু যুদ্ধের ছবি করতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু একটা ধরে করতে হবে। আর বাংলাদেশকে আমরা মিত্রদেশ হিসেবে ভেবে এসেছি, পজেটিভ দিকটা দেখা হয়েছে। সেই জন্য এখানে, যুদ্ধের ছবির বানানো সম্ভব না।"
সঙ্গে তিনি আরও বলেন, "আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে আমরা রিজিওনাল ছবি বানাই। সুতরাং, আমাদের পরিবেশ এবং চারপাশ মাথায় রেখেই ছবি বানাতে হবে। সেক্ষেত্রে, ন্যাশনাল স্তরে যখন সিনেমা বানানো হয়, সেটা মাথায় রাখা উচিত। জাতীয় স্তরে কিন্তু অনেকরকম ভাবে, একটা ছবিকে ছোঁয়া সম্ভব। সেটা আমাদের ক্ষেত্রে পসিবল না।"