ব্যারাকপুরের তৃণমূল পদপ্রার্থী হয়েই অর্জুন সিংকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। অর্জুন-গড়কে দখলদারিত্বের নাগপাশ থেকে মুক্ত করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন। কিন্তু দলের অন্দরেই উঠেছিল রাজের প্রার্থী হওয়া নিয়ে আপত্তি। ঘাসফুল শিবিরের স্থানীয় নেতাদের অনেকেই বলতে শুরু করেন,"ঢাল নেই, তরোয়াল নেই, একা নিধিরাম সর্দারের মতো রাজ চক্রবর্তী ব্যারাকপুর কেন্দ্র জেতাবেন তৃণমূলকে!" এখানেই শেষ নয়, 'দিদির প্রিয় পাত্র' টলিউড পরিচালককে 'বহিরাগত' বলেও বিঁধেছিলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূলেরই একাংশ। কিন্তু দিন দুয়েক যেতে না যেতেই কাটল অভিমানের মেঘ। 'বহিরাগত' ক্ষোভ-অধ্যায় হল অতীত। স্থানীয় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক-প্রচারের মাঝেই ক্রিকেট খেললেন রাজ।
এলাকার বিদায়ী পুরপ্রধান উত্তম দাস যিনি কিনা দিন দুয়েক আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ চক্রবর্তীর প্রার্থী হওয়া নিয়ে, তাঁকে দেখা গেল দিব্যি হাসিমুখে ক্রিকেট খেলায় মেতে উঠেছেন তাঁর সঙ্গে। তবে ব্যাট হাতে ব্যারাকপুরের ক্রিজে নামলেও অর্জুন-গড়ের পিচে বাউন্স আছে কিনা, তার পরিমাপ অবশ্য জানতে অপেক্ষা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ব্যারাকপুর (Barrackpore) বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রাজ চক্রবর্তীকে নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল (TMC) শীর্ষ নেতৃত্বদের মধ্যেই ক্ষোভ দানা বেঁধেছিল। কারণ, তাঁরা চেয়েছিলেন, স্থানীয়দের মধ্যেই কাউকে প্রার্থী করা হোক ব্যারাকপুরে। তবে দলনেত্রী ভরসা রেখেছেন রাজ চক্রবর্তীতে। আর তাতেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন ব্যারাকপুরের দুই শীর্ষ তৃণমূল নেতা।
রাজকে কটাক্ষ করে বিদায়ী পুরপ্রধান উত্তম বলেছিলেন, “আমি রাজ চক্রবর্তীকে চিনি না, চুন খেয়ে মুখ পুড়েছে, এখন দই দেখলেও ভয় লাগে। আবার কোন মীরজাফরকে প্রার্থী করা হল!” উত্তম দাসের এমন অসন্তোষ ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে চাপা থাকেনি। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই গেরুয়া শিবির ঠাট্টা শুরু করে। তবে রাজ চক্রবর্তীর প্রতি তাঁদের 'বহিরাগত' ক্ষোভ আপাতত অতীত! দলের তারকা প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়েই বৈঠকের পর খোশমেজাজে ক্রিকেট খেলতে দেখা গেল ব্যারাকপুরের শীর্ষ তৃণমূল নেতৃত্বদের। রাজও খুশি। বলছেন, "স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই ব্যারাকপুর কেন্দ্র জিতব।"