কথা দিয়েছিলেন বিধায়ক হয়ে মানুষের সুখ-দুঃখের ভাগীদার হবেন। সে কথা রেখেছেন। ব্যারাকপুর (Barrackpore) এবং তৎসংলগ্ন এলাকার মানুষেরা যাতে যথাযথ কোভিড পরিষেবা পান, তার জন্যে অতি তৎপরতার সঙ্গে কোভিড হাসপাতাল গড়ার কাজে হাত দিয়েছেন ইতিমধ্যে। এবার টিটাগড়ের ব্যবসায়ীদের সমস্যার সমাধানে ময়দানে নামলেন রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে বাজার বন্ধ রাখতে হয়েছিল, যার ফলে এই অতিমারী আবহে দু-পয়সা রোজগার করতে না পেরে মাথায় হাত পড়েছিল ব্যবসায়ীদের। সদ্য নির্বাচিত তারকা বিধায়কের কানে সেই কথা পৌঁছতেই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি। শেষমেশ রাজের মধ্যস্থতায় বন্ধ বাজারের দোকানপাট খোলে।
Advertisment
বিধায়ক হয়েই ব্যারাকপুরের পাট যে বেজায় গুছিয়ে সামলাচ্ছেন রাজ চক্রবর্তী, তা বলাই বাহুল্য। সূত্রের খবর, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে টিটাগড়, বৌবাজার ৬নম্বর ওয়ার্ডের বাজার বন্ধ ছিল। যার ফলে নিদারুণ সমস্যায় পড়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। খবর পাওয়া মাত্রই রাজ সেখানে যান। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা মেটান। দিন কয়েকের মধ্যেই তিনি যে ব্যারাকপুরবাসীর কাছে প্রকৃত মুশকিল আসান হয়ে গিয়েছেন, তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, রাজ-পাট সামলানোর দায়িত্বে কিন্তু অবিচল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) একনিষ্ঠ সৈনিক রাজ চক্রবর্তী। প্রার্থী হয়েই হুঁশিয়ারি ছুড়েছিলেন, ব্যারাকপুরকে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করবেন। বিজেপির শক্তঘাঁটিতে আসন জিতে দিদিকে উপহার দেবেন। কথা রেখেছেন মমতার ভরসার পাত্র। অর্জুনকে দেওয়া চ্যালেঞ্জও বিফলে যায়নি। বলেছিলেন, “অর্জুন সিং আমাকে গুরুত্ব দেবেন না বলছেন, কিন্তু কথা দিচ্ছি সবথেকে বেশি গুরুত্ব আমাকেই দিতে হবে।” ২মে ব্যারাকপুরবাসী বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁরা ক্ষমতায় মমতার প্রার্থীকেই চান। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের আসন জিতে কোনওরকম উৎসব-উল্লাস নয়, করোনা মোকাবিলায় সোজা নেমে গিয়েছেন ময়দানে। অতিমারীর আবহে ব্যারাকপুরবাসীকে যাতে কোনওরকম পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হতে হয়, সেদিকে কড়া নজর সদ্য বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর। সেই প্রেক্ষিতেই কোভিড হাসপাতাল গড়ার কাজে হাত দিয়েছেন। এবার এলাকার ব্যবসায়ীদের সমস্যা মেটাতেও দেখা গেল তৃণমূলের তারকা বিধায়ককে।