সলমন খানের প্রিয় ঘোড়া বিক্রি হচ্ছে! এমনই খবর গিয়েছিল যোধপুর নিবাসী এক মহিলার কাছে। অতঃপর লাখ লাখ টাকা ব্যাগে পুরে তিনি গিয়েছিলেন ঘোড়া কিনতে। কিন্তু কোথায় কী? ঘোড়া তো মেলেইনি। বরং আর্থিক প্রতারণার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। যার জেরে রাজস্থান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। তাঁর আবেদন মেনেই সম্প্রতি আদালতের তরফে রাজস্থান পুলিস কমিশনারকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
লকডাউনে পানভেলের ফার্মহাউজে অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন সলমন খান। ভাইরাল ভিডিওয় তাঁকে কখনও 'প্রিয়' ঘোড়ার সঙ্গে সময় কাটাতে, আবার কখনও বা চাষবাস করতে দেখা গিয়েছিল। আর সেসব ভাইরাল ভিডিওয় ভাইজানের পাশাপাশি রীতিমতো সেলেব হয়ে উঠেছিল তাঁর ঘোড়াও। কাজেই তার দরও কম নয়! আর সলমন খানের সেই ঘোড়া বিক্রি আছে জেনেই লাফিয়ে উঠেছিলেন রাজস্থানের বাসিন্দা সন্তোষ ভাটি। ভাইজানের সেলেব ঘোড়া পাওয়ার জন্য তাঁর লাখ খানেক টাকা খরচ করতেও অমত ছিল না! দাম ঠিক হয়েছিল ১২ লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই ঘোড়া তো মেলেইনি। উলটে আর্থিক প্রতারণার শিকার হতে হয়েছে ওই মহিলাকে।
প্রতারিত ওই মহিলা জানিয়েছেন, তিন ব্যক্তি তাঁকে সলমনের ফার্ম হাউসে তোলা একটি ঘোড়ার ছবি দেখান। জানান, ঘোড়াটি বিক্রি হবে। শুধু তাই নয়, সলমনের সঙ্গে তাঁদের ভালমতো পরিচয় রয়েছে বলেও, ওই মহিলাকে বিশ্বাস করান তাঁরা। এর আগেও নাকি সলমন খান তাঁদের মাধ্যমে ঘোড়া বিক্রি করেছেন বলে জানান। ঘোড়া কেনার পর তা বিক্রি করতে পারলে ভালো লাভ করা যায় বলেও ওই মহিলাকে জানিয়েছিলেন তিন প্রতারক। আর তাঁদের কথায় বিশ্বাস করেই শেষপর্যন্ত ১২ লক্ষ টাকায় ঘোড়া কেনার চুক্তি হয়েছিল। যার মধ্যে ১১ লক্ষ টাকা নগদ ও বাকি টাকা ওই মহিলা চেকে দিয়েছিলেন। তবে ঘোড়া হস্তান্তরের দিন নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়েও ঘোড়া পাননি ওই মহিলা।