প্রথমজীবনে ছিলেন বাস কন্ডাক্টার। সেই বাসের চালক রাজ বাহাদুর-ই প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন অভিনেতা রজনীকান্তকে (Rajinikanth)। আর সেই রজনী আন্না-ই বর্তমানে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রের বড় সুপারস্টার। 'রজনীকান্ত' নামটাই যথেষ্ট! দেশের বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে অপরিসীম অবদানের জন্য আজ তিনি ফিল্মি দুনিয়ার সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত হলেন।
আজ্ঞে, সাধারণ ছাপোষা বাস কন্ডাক্টার থেকে দাদাসাহেব ফালকে (Dadasaheb Phalke ) পুরস্কার পাওয়া, রজনীকান্তের জার্নি অনেকটা স্বপ্নেরই মতো। তার জন্য অবশ্য কম কাঠখড় পোহাতে হয়নি অভিনেতাকে। তবে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেও ভুলে যাননি গোড়ার দিনের স্ট্রাগলিং পিরিয়ড। ভুলে যাননি সেই মানুষগুলোকে, যাঁদের পাশে পেয়েছিলেন। তাই তো ২৫ অক্টোবর দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার হাতে তুলেই ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তাঁদের।
ভারতীয় ফিল্মি জগতের এই সর্বোচ্চ পুরস্কার রজনীকান্ত উৎসর্গ করেন তাঁর গুরু কে বালাচন্দ্রণকে। শুধু তাই নয়, ভাই সত্যনারায়ণ গাইকোয়াড়কেও ধন্যবাদ জানান। যিনি কিনা গোড়ার দিন থেকে রজনীকে বাবার মতোই আগলে রেখেছিলেন। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে, দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার হাতে তুলেই অভিনেতা ফিরে যান তাঁর শুরুর দিনগুলোতে। যখন পেট চালানোর জন্য বাসে বাসে কন্ডাক্টারি করতে হত রজনীকান্তকে। তিনি বলেন, "আমার কর্ণাটকের বাস চালক বন্ধু, সহকর্মী রাজ বাহাদুর-ই আমার মধ্যে প্রথম অভিনেতা সত্ত্বার আবিষ্কার করেন। ওর ইন্ধনেই আমি সিনেমাতে আসি। আমার সমস্ত প্রযোজক, পরিচালক, টেকনিশিয়ান যাঁরা আমার সঙ্গে কাজ করেছেন এবং সহশিল্পী, পরিবেশক, নির্বাহী, মিডিয়া, প্রেস এবং আমার সমস্ত ভক্ত এবং তামিল জনগণ, তাঁদের ছাড়া আমি কেউ নই। আমি তামিল জনগণকে ধন্যবাদ জানাই যারা আমাকে আমার জীবন দিয়েছে। জয় হিন্দ!”
এদিন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার হাতে তুলে নেওয়ার আগে অভিনেতার জন্য এক বিশেষ ভিডিও বার্তা ফুটে ওঠে স্ক্রিনে। যেখানে রজনীকান্তের ফিল্মি জার্নি প্রসঙ্গে কথা বলেন অমিতাভ বচ্চন, এআর রহমান থেকে মোহনলাল, খুশবু'র মতো তারকারা। সেইসময়ে দর্শকাসনে উপস্থিত ছিলেন রজনীকান্তের স্ত্রী লতা, জামাই তথা অভিনেতা ধনুশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন