সুপারস্টার রজনীকান্ত জানেন ঠিক কীভাবে পর্দার বাইরেও দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে হয়। সম্প্রতি বহুল আলোচিত ছবি ‘কুলি’-র ট্রেলার ও অডিও লঞ্চ অনুষ্ঠানে তিনি শুধু ছবির নানা দিকই ভাগ করে নেননি, বরং শেয়ার করেছেন তাঁর কিছু ব্যক্তিগত ও আবেগঘন স্মৃতিও। এর মধ্যে ছিল অভিনেতা নাগার্জুনার সঙ্গে এক মজার কথোপকথন, পরিচালক লোকেশ কানাগরাজের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ এবং তাঁর নিজের সংগ্রামের দিনগুলোর কথা।
রজনীকান্ত ও নাগার্জুনার চুল নিয়ে রসিকতা
অনুষ্ঠানে, 'থালাইভা' মজা করে বলেন- "শুটিংয়ে আমি নাগার্জুনাকে দেখলাম, তিনি একদম আগের মতোই আছেন। তাঁর চুল এখনও অক্ষত। আর আমার সব চুল উধাও! আমি যখন ওঁকে জিজ্ঞেস করলাম এর পেছনে রহস্য কী, তিনি বললেন, ব্যায়াম!" রজনী হাসতে হাসতে বলেন, “দেখো, আমি তো লাখ লাখ কিলোমিটার দৌড়েছি, তাই এখন আমায় একটু আস্তে সবকিছু হতে হবে।”
লোকেশ কানাগরাজের সঙ্গে প্রথম সংলাপ
রজনীকান্ত জানালেন, তিনি 'কাইথি' দেখার পরই লোকেশের কাজে মুগ্ধ হন এবং ভাবেন, অন্য কেউ সুযোগ পাওয়ার আগেই তাঁর সঙ্গে কাজ করবেন। তিনি বলেন, “আমি লোকেশকে ফোন করেছিলাম কাইথি দেখার পর। বলেছিলাম, ‘তোমার কাছে আমার জন্য কোনও গল্প আছে?’” কিন্তু তখন লোকেশ তাঁকে বলেন, “আমি অবশ্য কমল হাসানের ভক্ত।” তখন রজনী মজা করে জবাব দেন, “আমি কি জিজ্ঞেস করেছি তুমি কার ভক্ত? আমি শুধুই জানতে চেয়েছি কোনও গল্প আছে কিনা!” এরপর হাস্যরসের মধ্যেও তিনি বলেন, “লোকেশের গল্প খুব বুদ্ধিদীপ্ত। যদিও তাতে বড় পাঞ্চ ডায়লগ নেই, কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না।”
নাচের দৃশ্যে নিজের সীমাবদ্ধতা নিয়ে রসিকতা
রজনীকান্ত আরও শেয়ার করেন যে ছবির কোরিওগ্রাফার স্যান্ডিকে তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাঁকে একটু সহজে নিতে। তিনি বলেন, “আমি স্যান্ডিকে বলেছিলাম-দেখো ভাই, আমি পঞ্চাশের দশকের, অনেক বছর ধরে চলেই যাচ্ছি, শরীরটা এখন আগের মতো নেই। তাই কোরিওগ্রাফি একটু সাবধানে করো!”
জীবনের কঠিন অধ্যায় – কুলি হিসেবে কাজ করার দিনগুলো
সবশেষে, তিনি ফিরে যান তাঁর অতীতের দিকে, যখন তিনি কুলি হিসেবে কাজ করতেন। রজনীকান্ত বলেন, “আমি একবার ২ টাকার বিনিময়ে একজনের লাগেজ টেম্পোতে তুলছিলাম। তাঁর কণ্ঠস্বর কেমন যেন চেনা লাগছিল। পরে বুঝলাম, সে আমার কলেজের বন্ধু, যাকে আমি একসময় উপহাস করতাম। সে আমাকে দেখে বলল, ‘কি রজনী, কী অবস্থা তোমার?’ সেই মুহূর্তেই আমার মন ভেঙে গিয়েছিল। জীবনে প্রথমবার আমি ভেঙে পড়েছিলাম, চুপচাপ কেঁদে ফেলেছিলাম।”