Diwali memories of actors: দীপাবলি উৎসব সারা ভারত জুড়েই পালিত হয় কিন্তু এক এক প্রান্তে উৎসব পালনের ধরন এক এক রকম। রাজকুমার রাও, নেহা ধুপিয়া, স্বরা ভাস্কর, অপারশক্তি খুরানা, সায়ন্তনী ঘোষ-সহ বলিউড ও হিন্দি টেলিভিশনের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা জানালেন তাঁদের দীপাবলির স্মৃতি এবং কীভাবে প্রতি বছর এই দিনটি উদযাপন করেন তাঁরা।
দীপাবলি মানেই অনেকের কাছে ঘরে ফেরার উৎসব। যেমন প্রতি বছর ব্যস্ততার মধ্যেই দুটো দিন সময় বার করে চণ্ডীগড়ে নিজেদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন আয়ুষ্মান খুরানা ও অপরাশক্তি খুরানা। ''মুম্বইতে আমরা থাকি ঠিকই কিন্তু বাবা-মা যেখানে থাকেন, সেটাই তো বাড়ি। তাই প্রত্যেক বছরই দীপাবলিতে আমরা চণ্ডীগড়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। পরিবারের সবাই সেখানে আসেন। সবাই মিলে প্রদীপ জ্বালানো, মিষ্টি খাওয়ার মজাই আলাদা'', বলেন অপারশক্তি।
আরও পড়ুন: খাজনা ছেড়ে বাজনায় আমার বিশ্বাস নেই: ঋতাভরী
মিষ্টি খাওয়ার ব্যাপারে বাকিদের থেকে বেশ এগিয়েই রয়েছেন রাজকুমার রাও। তিনি জানালেন, ছোটবেলায় দীপাবলির পুজোর সময় তাঁর চোখ থাকত মিষ্টির থালার দিকে। তিনি জানালেন, ''গুরগাঁওতে জয়েন্ট ফ্যামিলিতে বড় হয়েছি। অনেক স্মৃতি রয়েছে। পরিবারের সবাই একসঙ্গে বসে দীপাবলির আচার পালন করা হতো। আমি শুধু অপেক্ষা করতাম কতক্ষণে পুজো শেষ হবে আর মিষ্টির থালা থেকে ছোঁ মেরে যত পারি তুলে নেব। তার পর বাজি ফাটানো। এখন অবশ্য শব্দবাজি ফাটানো মানা।''
স্বরা ভাস্করের দীপাবলির স্মৃতিটা বেশ মজার। অভিনেত্রী জানালেন প্রতি বছর আলপনা দেওয়ার কাজটা তিনি শেষ মুহূর্তের জন্য ফেলে রাখেন। তাই কোনওবারই আলপনাটা মনের মতো হয় না। ''প্রত্যেক বছর আমার আলপনাটা ধেবড়ে যায়, প্রত্যেক বছর পুজোর জন্য রেডি হতে দেরি করে ফেলি আর মায়ের বকুনি শুনতে হয়। ১১ বছর বয়স থেকে এটাই হয় দীপাবলিতে প্রত্যেক বার'', বলেন স্বরা।
আরও পড়ুন: হাউসফুল ৪: মস্তিষ্ক বলতে পারে, ”থামো। অনেক হয়েছে। পারছি না”
ওদিকে নেহা ধুপিয়া আবার ছোটবেলা থেকেই দীপাবলির দিনে বাড়ির এককোণে লুকিয়ে পড়তেন। কারণ বাজির আওয়াজ তাঁর একদম সহ্য হতো না। এখন অবশ্য শব্দবাজি ফাটানো নিষিদ্ধ তাই দীপাবলিতে একটু স্বস্তিতে থাকেন অভিনেত্রী। আর হিন্দি টেলিভিশনের বাঙালি তারকা সায়ন্তনী ঘোষের কাছে কিন্তু দীপাবলি মানে শুধু আলোর উৎসব নয়, তার সঙ্গে মিশে রয়েছে কালীপুজোর স্মৃতি।
''আমাদের বাঙালিদের কাছে দীপাবলি মানেই হল কালীপুজো। আর এই পুজো করতে হয় রাত্তিরে। তাই প্রত্যেক কালীপুজোর রাতে ঠাকুরদর্শন করতে বেরনো একটা দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে মা কালীর খুব ভক্ত। তিনি হলেন নারীশক্তির প্রতীক। আর ছোটবেলায় কালীপুজো মানেই ছিল বাবার সঙ্গে বাজি কিনতে বেরনো, আমি যদিও শব্দবাজি একদম পছন্দ করি না। প্রদীপ জ্বালানো আর ফুলঝুরি, এই সবই ভালো লাগে বরাবর'', বলেন সায়ন্তনী।