/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/26/wTh0Uq8BCQilsoytjfK5.jpg)
চলে গেলেন গায়ক ... Photograph: (ফাইল চিত্র)
আর শেষরক্ষা হল না। টানা ১১ দিন ধরে জীবনমৃত্যুর লড়াই চালিয়েও শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন তিনি। পাঞ্জাবি গায়ক ও অভিনেতা রাজবীর জাওয়ান্দা, যিনি ২৭ সেপ্টেম্বর হিমাচল প্রদেশে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, বুধবার মোহালির একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই থেমে গেল এই শিল্পীর জীবনযাত্রা।
কে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ..
রাজবীর জাওয়ান্দা এবং তার স্ত্রী সবসময় তাদের ব্যক্তিগত জীবনকে জনসম্মুখের আলো থেকে দূরে রেখেছিলেন। গোপনীয়তাকে তারা অত্যন্ত মূল্য দিতেন, এবং গায়কের স্ত্রী কখনও প্রকাশ্যে আসেননি। যদিও বা তাঁর নাম কখনও কেউ জানতেন না, রাজবীরের জীবনে এবং কর্মে তাঁর স্ত্রীর উপস্থিতি ও প্রভাব স্পষ্টভাবে অনুভূত হয়েছে। একজন জনপ্রিয় শিল্পীর জীবনসঙ্গী হয়েও তিনি পর্দার আড়ালে থাকতে পছন্দ করতেন, রাজবীরের দৃঢ় সহায়ক এবং মানসিক ভিত্তি হিসেবে পাশে ছিলেন। কাছের মানুষরা জানান, তিনি রাজবীরের ক্যারিয়ার, ভ্রমণ ও ব্যক্তিগত সংগ্রামের প্রতিটি মুহূর্তে তাঁর শক্তির উৎস ছিলেন। তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রায়ই রাজবীরের রোমান্টিক গানে প্রতিফলিত হয়েছে।
কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে
রাজবীর জাওয়ান্দা ৮ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে মারা যান, ২৭ সেপ্টেম্বর ঘটে যাওয়া এক দুর্ঘটনায় মাথা ও মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পাওয়ার পর। দীর্ঘ চিকিৎসার পরও তাঁর শরীর আর সাড়া দেয়নি। চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে তিনি ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিলেন এবং চিকিৎসার পুরো সময়ে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ অত্যন্ত সীমিত ছিল। হাসপাতালের সূত্র অনুযায়ী, তাঁর স্নায়বিক অবস্থা এতটাই সংকটজনক ছিল যে নিবিড় চিকিৎসা সত্ত্বেও কোনো উন্নতি দেখা যায়নি।
রাজবীরের পরিবার তাঁর চিকিৎসার সময় শুধু মানসিক যন্ত্রণাই সহ্য করেননি, বরং ক্রমবর্ধমান চিকিৎসা ব্যয়ের বোঝাও কাঁধে নিয়েছিলেন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজবীরের মা জানিয়েছেন যে পাঞ্জাবি সংগীত ও চলচ্চিত্র জগতের অনেক সহকর্মী তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁদের সময়োপযোগী আর্থিক সহায়তায় রাজবীরের পরিবার চিকিৎসা খরচ মেটাতে সক্ষম হয়েছিল এবং কঠিন সময়টিতে লড়াই চালিয়ে যান তাঁরা।
রাজবীরের অকাল মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার ও কাছের মানুষদেরই নয়, গোটা পাঞ্জাবি সংগীত জগতকেও গভীরভাবে শোকাহত করেছে।