জয়-বীরু যদি সেনাবাহিনীর সদস্য হতেন। কিম্বা ঠাকুরও যদি সেই অবসরপ্রাপ্ত সেনা হতেন। ধরুন, শেষ টুকুও বদলে দেওয়া হত। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, আইকনিক শোলে সিনেমা অনেকটাই বদলাতে পারত। অন্তত তেমনটাই ইচ্ছে ছিল পরিচালক রমেশ সিপ্পির কাছে। ৪৫ বছর আগের সেই কাল্ট ক্ল্যাসিক। সেই মাদকতায় এখনও আছন্ন বি টাউন। ছবির জন্মদিন উপলক্ষ্যেই রমেশ সিপ্পি জানিয়ে দেন অজানা অনেক গল্প।
আন্দাজ আর সীতা আউর গীতা বানানোর পরে হলিউডের ওয়েস্টার্ন ঘরানার ছবি বানাতে চেয়েছিলেন। তখনই পরিচালককে দারুণ এক স্ক্রিপ্ট শোনান জাভেদ আখতার এবং সেলিম খান। এমন গল্প শোনার পর মনে মনে সিপ্পি সাহেব ঠিকই করে নিয়ে ছিলেন এমন দুই বন্ধুর গল্প বলা হবে, যাঁরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে এবং ঠাকুরের প্রতিশোধ নিতে সাহায্য করবেন। তবে প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল জয়-বীরুকে সেনাবাহিনীর ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে গল্প এগোনো হবে।
আরও পড়ুন
আঁখ মারে! ঠাকুমার কোমরের ঝটকায় ‘দিল ধড়কাল’ সারা-রণবীরেরও, দেখুন ভিডিও
রমেশ জি বলছিলেন, "ভেবেছিলাম গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেন দুই যুবক যাঁরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রকৃতির প্রতি তাঁদের ভালোবাসা এবং কীভাবে ঠাকুরের জীবনে তাঁরা জড়িয়ে যান।" চিত্রনাট্য লেখা থেকে কাস্টিং, শুটিং প্রায় দু বছর সময় লেগেছিল। ১৯৭৩-এর অক্টোবরে শ্যুটিং শুরু হয়। সিনেমা থিয়েটারে মুক্তি পায় ১৯৭৫-এর ১৫ অগাস্ট।
পরিচালক নিজে আশাবাদী ছিলেন। তবে তাঁর সিনেমা নিয়ে যে ৪৫ বছর পরেও মানুষ মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে থাকবে ত ভাবতে পারেননি। ঘটনা হল, গব্বরের চরিত্র পাওয়ার জন্য ঝাঁপিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র, অমিতাভ থেকে কুমারও। তবে পরিচালকের প্ৰথম পছন্দের ছিলেন ড্যানি ডেনজিংপা। তিনি সেই সময় ফিরোজ খানের ধর্মাত্মা-য় অভিনয় করার জন্য এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেন।
সেই সময়েই আসরে নামেন সেলিম-জাভেদ। তাঁরা সরাসরি আমজাদ খানকে নেওয়ার সুপারিশ করেন। এক থিয়েটারে আমজাদ খানের অভিনয় দেখে পছন্দ হয়ে ছিল বিখ্যাত সুরকারের। তারপরেই তিনি আমজাদ খানকে নেওয়ার প্রস্তাব দেন।
কাস্টিং করার পর আমজাদ খান এই চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি নেন চম্বল ডাকাতদের নিয়ে লেখা বই 'অভিশপ্ত চম্বল' নিয়ে পড়াশুনা করে। ধর্মেন্দ্র আবার ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তৈরি ছিলেন। তবে সেই সময় তাঁকে পরিচালক বলেন, ঠাকুরের চরিত্রে অভিনয় করলে হেমা মালিনীর সঙ্গে রোম্যান্স করার সুযোগ জুটবে না। শেষ পর্যন্ত বীরুর চরিত্রেই রাজি হয়ে যান ধর্মেন্দ্র।
Read the full article in ENGLISH