বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ানো নিয়ে বেশ কিছুসময় ধরেই নেটদুনিয়ায় নানান কিছু মতামত। বর্তমান সময়ে বাংলা ছবির ধরন অনেকটাই বদলেছে। দর্শকদের সিনেমার প্রতি ভাবনা চিন্তা অনেকটাই বদলেছে। কিন্তু শেষ কয়েক বছরে ভিন্ন গল্প, কিংবা নিত্যনতুন চমকের পরেও সেইভাবে ব্যবসা করতে পারছে না অনেক ছবিই। সেই প্রসঙ্গেই সরব প্রযোজক রানা সরকার।
তথাকথিত গত একবছরে বাংলা ছবির ব্যবসা কিংবা টিকিট বিক্রি দেখে নিজের মতামত রেখেছেন রানা সরকার। তাঁর বক্তব্য, যেটুকু বোঝা যাচ্ছে সুপারস্টারদের বক্স অফিসে আর বিক্রি নেই। দিনের পর দিন যারা একসময় ইন্ডাস্ট্রিতে রাজ করেছেন তাদের চাহিদাও একজন কমেছে বলেই দাবি করেছেন রানা। শেষ রিলিজ করেছে 'কাছের মানুষ' এবং 'কর্ণসুবর্নের গুপ্তধন'। যার মধ্যে আবির এবং ধ্রুব বন্দোপাধ্যায় জুটি আবারও কামাল করেছে এটুকু বলাই যায়। ফলেই 'কাছের মানুষের' দুই তারকা দেব ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে বিঁধলেন তিনি।
গতবছরের তিনটি ছবিকে বিরাট সার্টিফিকেট দিলেন রানা। বললেন, "অপরাজিত, বেলাশুরু এবং কর্ণসুবর্নের গুপ্তধন ব্যতীত আর একটাও হিট ছবি নেই। সুতরাং এর কৃতিত্ব জিতু, আবীর এবং শিবু নন্দিতার"। কিন্তু দিন এগোনর সঙ্গে সঙ্গে যে সুপারস্টারদের চাহিদা অনেকটাই কমেছে এও বোঝালেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, "সুপারস্টারদের সিনেমা লোকজন ফ্রীতে বাড়িতে বসে দেখতে চায়। কিন্তু পয়সা দিয়ে হলে গিয়ে ছবি একেবারেই দেখবেন না। সুতরাং শুধু ফ্যানবেসের কিছু লোকজন ছাড়া আর কেউই যায় না"। কিন্তু এসবের মাঝে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন রানা সরকার।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় মানেই গোটা ইন্ডাস্ট্রি। দীর্ঘ এতবছর অভিনয় জীবন। নানা পরিচালকের সঙ্গে দাপুটে অভিনয়। কিন্তু রানার বক্তব্য, "তিনি নিজে ইন্ডাস্ট্রি হলেও শেষবারের মত হিট দিয়েছেন ২০১৯ সালে গুমনামী ছবিতে। তাও সেটা সৃজিতের ছবি। বাকি তারপর থেকে সব ফ্লপ"। এবং তাঁর সঙ্গে ছাড়লেন না দেবকেও। গোলন্দাজ, টনিক কিংবা কিশমিশের সাফল্য তবে মিথ্যে? রানা বললেন,"বক্স অফিস কালেকসন যা বলা হয়েছে সম্পূর্ন ভুয়ো। ভুল তথ্য দিয়ে বাংলা ছবির ক্ষতি করা হয়েছে"।
তবে এসবের মাঝে নিজের স্বজ্ঞানে ঘোষণা করলেন, যে আজকের সুপারস্টার জিতু এবং আবির। এরা ছাড়া আর কেউ সেই ফর্মে নেই। নিজের পছন্দের অভিনেতাকে সাপোর্ট করতে গিয়ে বাংলা সিনেমার যেন ক্ষতি না হয়, এই কথাও তিনি বললেন।