Television Industry in Bengal Faces Financial Crisis: প্রযোজক রানা সরকার এবং দাগ সি মিডিয়ার পাঁচটি ধারাবাহিকের ইউনিটের শিল্পীদের বকেয়া পারিশ্রমিক ইস্যুতে ২৫ মে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে আর্টিস্টস ফোরাম। সেখান ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া-র বিভিন্ন ধারাবাহিকের ইউনিটের শিল্পী-টেকনিসিয়ানদের যে পেমেন্ট বকেয়া রয়েছে, তা অনির্দিষ্টকাল ধরে বকেয়া রয়েছে। ওই বকেয়া পেমেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট চ্য়ানেলগুলিতে একটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার কথা দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়া-র। সেই এনওসি নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে টেলিপাড়ার একাধিক সূত্রে। ২৬ মে মধ্যরাতে হঠাৎই প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে একটি ইমেল মারফত এনওসি দিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন রানা সরকার, এমনটাই জানা গিয়েছে একটি সোশাল মিডিয়া পোস্ট মারফত।
২৬ মে, রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ ওই টুইটটি করেন এক কলকাতার এক সাংবাদিক। সঙ্গে সঙ্গেই ওই টুইটটি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় টেলিজগতে। ওই টুইটের সঙ্গে ইমেল-এর যে স্ক্রিনশটগুলি দেওয়া হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যে রানা সরকার মেলটি করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্য়ায়কে, সঙ্গে সিসি-তে রয়েছে ফোরামের মেল আইডি। মেলে তিনি বলেছেন, যে পারিশ্রমিক বকেয়া রাখার ব্য়াপারে তাঁর ব্যক্তিগত স্বার্থ রয়েছে বলা হচ্ছে - যা শুনে তিনি অত্যন্ত আহত বোধ করছেন। ওই মেল অনুযায়ী, রানা সরকার এই টাকা বাকি রাখার বিষয়ে চ্যানেলের দিকেই কার্যত আঙুল তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, চ্য়ানেল শিল্পীদেরও পেমেন্ট করেনি এবং তাঁর যা পাওনা রয়েছে, সেই টাকাও দেয়নি।
রানা সরকারের বক্তব্য, শিল্পীদের বকেয়া থাকার জন্য় তিনি দায়ী হতে পারেন না। এনওসি নিয়ে যে প্রশ্নটি বার বার উঠেছে সাংবাদিক বৈঠকে এবং তার আগেও, সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি মেলে লিখেছেন যে, যদি 'তাঁদের' পক্ষ থেকে এনওসি দিলেই বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়, তবে তিনি দ্রুত সেই এনওসি সংশ্লিষ্ট তিনটি চ্য়ানেল অর্থাৎ কালারস বাংলা, জি বাংলা ও স্টার জলসা-কে পাঠিয়ে দেবেন। যে সমস্ত শিল্পীরা টাকা পাবেন, তাঁদের একটি তালিকা থাকবে ওই এনওসি-র সঙ্গে, এমনটাই ইমেলে লিখেছেন তিনি।
তার পরেই তিনি লিখেছেন যে ওই তালিকাটি পাঠানোর সঙ্গেই তিনি সংশ্লিষ্ট চ্য়ানেলগুলিকে অনুরোধ জানাবেন, অবিলম্বে শিল্পীদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য়। তিনি এও লিখেছেন ওই মেলে যে এর আগে শিল্পীদের নামের যে তালিকাটি গিয়েছিল চ্য়ানেলের কাছে, সেই তালিকায় কিছু গলদ রয়েছে। তাই নতুন করে তালিকা বানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব পাঠানো হবে, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Bengali Television Industry Payment Issues: টেলিজগতের আর্থিক দুর্নীতি! ট্যাক্স কারচুপির অভিযোগ
এখন প্রশ্ন হল, রানা সরকার এনওসি দিলেই কি সমস্য়ার সমাধান হয়ে যাবে? টেলিপাড়ার একাংশের উদ্বেগ, সেখানেই সমাধান হবে না। কারণ শোনা গিয়েছে, রানা সরকার এই মুহূর্তে ওই কোম্পানির একজন শেয়ারহোল্ডার মাত্র। অথচ তাঁর বিভিন্ন ধারাবাহিকে কাজ করেছেন এমন একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে তাঁদের চেকে একমাত্র রানা সরকারেরই সই থাকত। অর্থাৎ তিনি ওই কোম্পানির সাইনিং অথরিটি ছিলেন অন্তত ততদিন, যতদিন পর্যন্ত তাঁর সই করা চেক পৌঁছেছে অভিনেতা-অভিনেত্রী বা টেকনিসিয়ানদের কাছে। কিন্তু তার পরে কোম্পানিতে তাঁর অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
আবারও রানা সরকারের সঙ্গে দূরভাষে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। তাঁর ফোন বারবারই নেটওয়র্ক-এর বাইরে থেকেছে। এই প্রসঙ্গে পাঠানো মেসেজেরও উত্তর দেননি তিনি।