ক্রিসমাস রিচুয়াল হয়ে গিয়েছে আলিয়া এবং রণবীরের উপস্থিতি। আর শেষ বছর থেকে পুঁচকে মানুষটির উপস্থিতি আরও বেশি করে জানান দিয়েছে, বড়দিন মানেই ছোট্ট রাহার সিরিয়াস মুখ। গতবছর এইদিনেই প্রথমবারের মতো তাঁকে সকলের সামনে এনেছিলেন রালিয়া। আর এবার...
প্রতিবারের মতো কাপুর পরিবারের অফিসিয়াল ক্রিসমাস লাঞ্চ ছিল আজ। সেখানেই জড়ো হয়েছিলেন সকলে। আর আলিয়া এবং রণবীর সেখানে তাঁদের ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে যাবেন না এও হয়? গতবারের থেকে গ্যাপ মাত্র ১ বছরের। আর রাহা? এখন অনেকটাই ক্যামেরা ফ্রেন্ডলি। শুধু তাই নয়, তাঁর উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মত। রাহাকে দেখা গেল সাদা এবং গোলাপী রঙের একটা ফ্রকে।
বাবার কোলে কোলে ঘোরা তাঁর আইডিয়াল কাজ। বেশিরভাগ সময় রণবীরের কোলে হাসিমুখেই সেই খুদেকে দেখা যায়। রাহা যেন তাঁর বাবার সঙ্গে সবথেকে বেশি প্রাণ খোলা। রণবীরের সঙ্গেই তাঁকে হাসতে বেশি দেখা যায়। আর আজ যা হল... আলিয়া ভেবেছিলেন, সামনে এত লোক দেখে হয়তো রাহা ভয় পেয়ে যাবে। তাই তো, উপস্থিত পাপারাজ্জিদের জিজ্ঞেস করছিলেন, যে একটু শান্ত গলায় যেন কথা বলেন।
এমনকি তিনি এও অনুরোধ করছিলেন, যেন কেউ চিৎকার না করেন। কিন্তু, রাহা? সে তো এখন পাপারাজ্জিদের বুঝে শুনে নিয়েছে। তাঁদের চিনতে শিখেছে সে। সে তো সামনে এত মানুষ দেখে আহ্লাদে আটখানা। বাবার কোলে শুধু সে এলোই না বরং, তাঁকে দেখা গেল একগাল হাসি দিয়ে কাটা কাটা শব্দে মেরি ক্রিসমাস বলার চেষ্টা করল সে। আর সেই উচ্ছ্বাস দেখে আলিয়ার হাসি ধরার জো নেই।
অন্যদিকে মেয়ের এত চিয়ারফুল মেজাজে আনন্দে আত্মহারা রণবীর নিজেও। সে যে একটু হলেও বড় হয়েছে একথা নিশ্চিত। বাবার গলা জড়িয়ে ছবির জন্য পোজ দিল সে। আর ফিরে যাওয়ার সময়, মিষ্টি রাহা যা করল তা তো ভাইরাল। সবাই যখন তাঁকে টাটা বলে বিদায় জানাচ্ছে, তখন ছোট্ট হাত দুটি দিয়ে সে শুধু সবাইকে টাটা করল না। বরং, সকলের উদ্দেশ্যে ফ্লাইং কিস পর্যন্ত দিল। সেই ভিডিও ভাইরাল সমাজ মাধ্যমে।
প্রসঙ্গে, এই একবছরে রাহাকে নানা ছবিতে তাঁর বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। এবং যতবার তাঁর ছবি সমাজ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন আলিয়া, ততবার ছোট্ট রাহাকে দেখে মুগ্ধ হয়েছেন জনগণ।