তিন বছর হয়ে গেল বাবা ঋষি কাপুর নেই। এই কটা বছরে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে রণবীরের জীবনে। প্রেমিকা আলিয়া ভাটকে বিয়ে করেছেন। মেয়ে রাহার জন্ম হয়েছে। বলিউডের প্লেবয় ইমেজ ছেড়ে এখন রণবীর কাপুর পুরোদস্তুর 'ফ্যামিলি ম্যান'। তবে মাঝের এই সময়টা কম চড়াই-উতরাই দেখতে হয়নি অভিনেতাকে। সেকথা বলতে গিয়েই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রণবীর কাপুর।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বাবা ঋষি কাপুরকে চিরতরে হারিয়েছেন রণবীর। সেইসময়ে ব্রহ্মাস্ত্র আর সামসেরা.. এই দুই সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত অভিনেতা। শুটের ফাঁকে অবসর পেলেই হাসপাতালে থাকা বাবার কাছে ছুটতেন। তবে শেষমেশ বাড়িতে ফেরাতে পারেননি। মৃত্যু হয় ঋষি কাপুরের। আর তারপর থেকেই অদ্ভূতভাবে বদলে যায় রণবীর কাপুরের জীবন। কীরকম? সম্প্রতি সেকথাই শেয়ার করেন বি-টাউনের সুপারস্টার।
বাবার মৃত্যুর পর জীবনকে আরও কাছ থেকে উপলব্ধি করতে পেরেছেন রণবীর। সমস্তরকম প্রতিকূলতা, বাধা-বিপত্তির লাগাম টেনে জীবনকে উপভোগ করতে শিখেছেন। সেইপ্রসঙ্গেই সম্প্রতি অভিনেতা জানান, "কারও জীবনে বাবা-মায়ের মধ্যে কাউকে হারানো যে কতটা হৃদয়বিদারক, তা বলে বোঝানো যায় না। এর থেকে জীবনে আর বড় কিচ্ছু হয় না। বিশেষ করে কেউ যখন চল্লিশের কোঠায়, তখনই এরকম কিছু একটা ঘটে। কেউ সেইসময়টার জন্য তো নিজেকে প্রস্তুত করে রাখে না। তবে এই কঠিন সময় গোটা পরিবারকে আরও বেঁধে রাখে। জীবনকে বুঝতে আরও সাহায্য করে।" শুধু তাই নয়..
রণবীর এও যোগ করেন যে, "এই কঠিন সময় থেকে বহু ভাল-খারাপ জিনিস শেখা যায়। আমার জীবনে যেমন আমার সন্তান রাহা এসেছে। আলিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। অনেক উত্থান-পতনও গিয়েছে অবশ্য। তবে এটাই তো জীবন, তাই না? শিল্পীর জাবনের এই কঠিন সময় তাঁর সত্ত্বাকেও প্রভাবিত করে। তবে তখন কেউ বুঝতে পারে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই পরিস্থিতির সঙ্গে মানুষ মানিয়ে নেয়। আমার বাবা যখন ক্যানসারে ভুগছিলেন, তখন ব্রহ্মাস্ত্র, সামসেরার শুটে আমি ব্যস্ত। এখন যখন ব্রহ্মাস্ত্র দেখি মনে হয়, আরে এই দৃশ্যটার শুটের সময় বাবার কেমোথেরাপি চলছিল। কিংবা বাবা ভেন্টিলেশনে ছিলেন।"
প্রসঙ্গত, সামনেই রণবীর কাপুর ও শ্রদ্ধা কাপুর অভিনীত 'তু ঝুটি ম্যায় মক্কার' সিনেমার রিলিজ। সেই ছবির প্রচারে এসেই বাবা ঋষি কাপুরের চলে যাওয়া নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রণবীর কাপুর।