নিভল বলিউডের 'প্রদীপ'। না ফেরার দেশে চলে গেলেন 'মর্দানি', 'পরিণীতা' পরিচালক প্রদীপ সরকার। মুম্বইতে থেকেও বাঙালিয়ানা ভোলেননি তিনি। এমনকী সেটেও বাংলা ভাষায় কথা বলতেন। আর মুম্বইতে থেকেও যাঁরা বাঙালিয়ানা বজায় রেখেছিলেন, তাঁদের জন্য ছিল তাঁর অমোঘ টান। প্রিয় মানুষ 'প্রদীপদার' মৃত্যুর খবর যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না রানি মুখোপাধ্যায়। শোকস্তব্ধ অভিনেত্রী।
প্রদীপ সরকার পরিচালিত 'লাগা চুনড়ি মে দাগ', 'মর্দানি'তে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন রানি মুখোপাধ্যায়। অনেক বিজ্ঞাপনেও একসঙ্গে কাজ করেছেন। রানি বললেন, "দাদার মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই তো সেদিন কথা হল। অমৃতসরে স্বর্ণমন্দিরে গেছিলাম যেদিন। ফোন করে অনেকক্ষণ আমার ছবির ব্যাপারে কথা বললেন দাদা। ভিডিও কল করার কথাও বলেছিলেন প্রদীপদা। তবে নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকায় করে উঠতে পারিনি। ফিরেই এই সপ্তাহেই দেখা করার প্ল্যান করলাম আমরা। কিন্তু কী যে একটা ঘটনা ঘটে গেল!.."
<আরও পড়ুন: বলিউডে নক্ষত্রপতন! প্রয়াত ‘পরিণীতা-মর্দানি’ খ্যাত বাঙালি পরিচালক প্রদীপ সরকার>
অভিনেত্রী জানালেন, "প্রদীপদার স্ত্রী পাঞ্চালি বৌদি-ই ভোর ৪টেয় ফোন করে খবরটা দিলেন আমাকে। সত্যি খুব খারাপ লাগছে এটা ভেবে যে দাদা হঠাৎ এভাবে চলে গেলেন। বৌদি-ই আমাকে জানিয়েছিলেন যে, সুস্থ হয়ে গত কয়েকদিন ধরেই শুটিং করছিলেন উনি। কিন্তু কয়েকটা ঘণ্টায় কী থেকে কী যে হয়ে গেল.. অদৃষ্টের যে কী খেলা! দাদার সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছেন কিংবা ওঁকে খুব কাছ থেকে চিনতেন, তাঁরা প্রত্যেকেই যে এই দুঃসংবাদে গভীরভাবে শোকাহত, আমি নিশ্চিত।"
পুরনো স্মৃতি আউড়ে রানি মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্য, "প্রদীপদার সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। আমরা অনেক কাজ করেছি একসঙ্গে। তাই আমার কাছে প্রদীপদার চলে যাওয়াটা পারিবারিক ক্ষতি। আমার চিন্তা হচ্ছে বৌদির জন্য। রন, রায়া ওঁদের কথা ভেবে খুব কষ্ট হচ্ছে। যাঁরা ওঁর সঙ্গ কাজ করেছে, তাঁদের জন্য যে এটা কতটা ক্ষতি, তা বলে বোঝানো যাবে না। এই সপ্তাহেই দেখা হওয়ার কথা ছিল, আর উনি চলে গেলেন। এটা বিশ্বাসই করতে পারছি না। জীবন যে কতটা অনিশ্চিত, তা আবারও বুঝলাম। একটা মানুষের সঙ্গে কথা বললাম, আর তার পরেই জানতে পারছি যে উনি আর নেই..। আমার সিনেমা নিয়ে যতটা খুশি ছিলেন প্রদীপদা, আমি ওই হাসিমুখটাকেই মনে রাখতে চাই।"