Ranjith Accused By Sreelekha: দক্ষিণ ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে গিয়ে শ্রীলেখা ভয়ঙ্কর শ্লীলতাহানির সম্মুখীন হন। কেরালার চলচ্চিত্র একাডেমির চেয়ারম্যান রনজিতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন শ্রীলেখা। অভিনেত্রী জানিয়েছেন কাজ করতে গিয়ে তার সঙ্গে যেরকম হবে ভাবতেও পারেনি।
কি হয়েছিল অভিনেত্রীর সঙ্গে?
আর জি কর কাণ্ডে যখন গোটা রাজ্য ভয়ংকরভাবে উত্তাল। সেখানে প্রশ্ন একটাই নারী স্বাধীনতা এবং নারী নিরাপত্তা। স্বাধীনতার এত বছর পরও মেয়েরা এখানে সুরক্ষিত নয়। কিন্তু শ্রীলেখা কেরালাতে গিয়েও সুরক্ষিত ছিলেন না। অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন তার সাথে কি হয়েছিল। রনজিত, একজন বর্ষিয়ান মালয়ালি পরিচালক এবং কেরল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি এর জনপ্রিয় মুখ। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, পরিচালক নাকি তাকে যৌন হেনস্থা করেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখার দাবি, রনজিত এবং মামুত্তির সঙ্গে কাজ করতেই তিনি কোচি গিয়েছিলেন। যেদিন পৌঁছান সেদিন বিকেলেই তাকে, ছবি প্রযোজক এবং কলাকৌশলীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করানোর জন্য ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু রনজিত তাকে অবাক করে দিয়ে, হোটেল রুমে শ্রীলেখার সঙ্গে অদ্ভুত আচরণ শুরু করেন। তার ঘাড়ে হাত দেন, তার চুল সরাতে যান। কোন মতে সে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন শ্রীলেখা। সারা রাত তাঁর আতঙ্কে ঘুম হয়নি। দরজা-জানলা বন্ধ করে কোনরকমে নিজেকে সেদিন আটকে রেখেছিলেন। পরের দিন বলে দিয়েছিলেন ছবিতে আর কাজ করবেন না এবং নিজের শহরে ফিরে আসার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন।
পরিচালকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এ কথা আগে জানানো হয়েছিল। যদিও এ কথাও অজানা নয় যে রনজিৎ হিরনের মন্ত্রীদের খুব কাছের মানুষ। মন্ত্রী সাজি চেরিয়ান, শ্রীলেখার করা অভিযোগের বিরুদ্ধে সাফাই গেয়েছিলেন। মন্ত্রী, রনজিৎকে অত্যন্ত সম্মানীত শিল্পী হিসেবে বর্ণনা করে জানিয়েছিলেন যে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পেলে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু অভিযোগের বিরুদ্ধে রনজিতের মতো প্রশংসিত পরিচালককে শাস্তি দেওয়া ঠিক নয়। এবং তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন যে পরিচালকের পদত্যাগের কোন মানেই হয় না। প্রযোজক স্যান্ড্রা থমাস সাজি চেরিয়ানের এহেন কাণ্ডে থ। তিনি দাবি করেছিলেন, দেখতে অদ্ভুত লাগছে এবং খুবই দুঃখজনক যে একজন মন্ত্রী, একজন পরিচালক যার বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে তাকে তিনি ডিফেন্ড করছেন।
কিন্তু শ্রীলেখার অভিযোগ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই, রবিবার কেরালার চলচ্চিত্র একাডেমির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন রনজিত। এমনকি তিনি একা নন। মালায়ালাম মুভি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেন প্রবীণ মালায়ালাম অভিনেতা সিদ্দিক।
রনজিত নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানিয়েছেন, "এই অভিযোগ ব্যক্তি হিসেবে আমার যা ক্ষতি করেছে তাৎক্ষণিকভাবে মেরামত করা সম্ভব নয়। তারপরও আমাকে প্রমাণ করতে হবে যে অভিযোগটি ভুল ছিল। আমি জনগণকে বুঝিয়ে দেবো যে এটি মিথ্যে ছিল। তিনি পরস্পর বিরোধিতার কারণে বক্তব্য দিয়েছেন। যাই হোক না কেন আমি আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"