সততাই যেন কাল হয়ে দাঁড়াল! অভিনেতা রণবীর শোরে ( Ranvir Shorey ) বোধহয় আশাও করেননি এমন কিছু। তবে মানুষের এমন কার্যকলাপে তিনি দারুণ মর্মাহত। ছেলে হারুন কোভিড পজিটিভ - সেই প্রেক্ষিতেই মানুষের এই আচরণ দেখে রেগে আগুন অভিনেতা।
Advertisment
সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন তার পুত্র হারুন করোনা আক্রান্ত। গোয়ায় ছুটি কাটাতে মজেছিলেন তারা দুজনেই। ফেরার পথে বিমানবন্দরে রুটিন চেকের সময় জানতে পারেন অসুস্থতা প্রসঙ্গে। সেই মুহূর্তেই ফিরে যান পুরনো হোটেলে, আর মুম্বাই ফেরা হয়নি। হোটেলের সেই ঘরেই নিজেদের সম্পূর্ণ আবদ্ধ রেখেছিলেন- তারপরেও যেন রেহাই নেই মানুষের ক্ষোভ থেকে। তাদেরকে একরকম আটক করেন হোটেলের বাকি অতিথিরা। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেই ক্ষুব্ধ রণবীর বলেন, ' আমরা সেই ঘরে ছিলাম বলেই হোটেলের ওপর চাপ দেওয়া হয়, আমাদেরকে প্রায় আটক করে রাখা হয়। আমি সাধারণ মানুষের ভালর স্বার্থে বলতে গিয়ে এমন কিছুর স্বীকার হব আশা করিনি, এ কেমন অবৈজ্ঞানিক বৈষম্যের মাঝে সমাজ দাঁড়িয়ে?' পাবলিকের রোষে এমনভাবে পড়বেন এ যেন স্বপ্নাতীত!
এখানেই থামেননি তিনি। বলেন কাল অবধি যারা এত সুন্দর ব্যবহার করেছেন, ছবি তুলেছেন, একসঙ্গে ভাল সময় কাটিয়েছেন আজ এমন বদল হবে সেটি কল্পনাও করেননি অভিনেতা। না তো তারা এদিক ওদিক ঘুরছিলেন না হোটেলের অন্য কাউকে সংস্পর্শে আসতে দিচ্ছিলেন। তারপরও শুধু দুজনের উপস্থিতির কারণেই হোটেল থেকে ডিসকাউন্ট এবং টাকা ফেরত পর্যন্ত চেয়েছেন মানুষ! উল্লেখ্য, রনবীর নিজে করোনা আক্রান্ত নন, সেই খবরও জানিয়েছিলেন খোদ।
সহজে ভুলছেন না এই অভিজ্ঞতা। সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সততার আদৌ ঠাঁই রয়েছে কিনা এই প্রসঙ্গেও। সমাজে কোভিড ১৯ নিয়ে মানুষের ভয়ভীতি শুধু নয়, এর আগেও বেশি কিছু স্থানে মানুষের সঙ্গে অমানবিক আচরণের চিত্রও দেখা গিয়েছিল। বেশ কিছু মানুষ তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই মতামত জানিয়ে বলেন, ফ্ল্যাট বাড়িতে একই বিল্ডিংএ অনেকেই থাকেন, কোনও ফ্লোরের কেউ অসুস্থ হলে বাকিরা কী বাড়ি থেকে চলে যান? যদিও বারবার এই বার্তা সর্বত্র দেওয়া হয় রোগের সঙ্গে লড়তে হবে রোগীর সঙ্গে নয়, তারপরেও অজানা এক আতঙ্ক যেন ঘিরে রেখেছে মানুষকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন