চিত্রনাট্যই যে শেষ কথা বলে তার প্রমাণ ঠাগস অফ হিন্দুস্থান: পাভেল

নবীনচন্দ্র দাস ইয়ং অ্যাচিভার, যিনি ২৩ বছর বয়সে রসগোল্লা আবিস্কার করেছিলেন। এটাই তো বড় কারণ ছবিটা করার, তাই না!

নবীনচন্দ্র দাস ইয়ং অ্যাচিভার, যিনি ২৩ বছর বয়সে রসগোল্লা আবিস্কার করেছিলেন। এটাই তো বড় কারণ ছবিটা করার, তাই না!

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রসগোল্লা নিয়ে আলোচনায় পরিচালক পাভেল।

আনকোরা গল্প হলেই ছবি হিট, এই ফর্মুলা অনেক আগেই শিবপ্রসাদ-নন্দিতা বের করে ফেলেছেন। সেই নিয়মেই একের পর এক ছবি বক্স অফিসে কাটিয়ে দিচ্ছে ১০০ দিন। কোথায় তৈরি হয়েছিল রসগোল্লা, ওড়িশা না পশ্চিমবঙ্গে? স্বত্ব নিয়ে গোলযোগের আগেই রসগোল্লা নিয়ে ছবি করবেন ভেবেছিলেন পাভেল। কিন্তু ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই রসগোল্লায় কলকাতার একাধিপত্য প্রমাণিত। জমিয়ে শীত পড়ার সঙ্গেই মিষ্টির ইতিহাস খুঁড়তে তৈরি দর্শক। তাই আগে ভাগে গল্পটা শুনে নেওয়া গেল খোদ পরিচালকের কাছ থেকেই।

Advertisment

বাংলা-ওড়িশার তরজা দেখেই কি বিষয়টা বাছলেন?

না না! তর্ক বিতর্কের অনেক আগেই, প্রায় তিন বছর আগে গল্পটা ভেবেছিলাম। আড্ডা মারতে মারতে হঠাৎই রসগোল্লার কথা ওঠে। তারওপরে নবীনচন্দ্র দাস ইয়ং অ্যাচিভার, যিনি ২৩ বছর বয়সে রসগোল্লা আবিষ্কার করেছিলেন। এটাই তো বড় কারণ, তাই না!

উজান-অবন্তিকার খোঁজ কী করে পেলেন?

Advertisment

নবীনচন্দ্র দাসকে খুঁজতে গিয়ে প্রচুর অডিশন নিচ্ছিলাম। নন্দিতা দি একদিন বলল, কৌশিকের ছেলের তো বয়স এরকমই একবার দেখবে। তারপর ডাকলাম, অডিশন নেওয়ার পর মনে হয়েছিল একেই খুঁজছিলাম। আর অবন্তিকার অডিশন নিয়েছিলাম ২ বছর আগে, রোজ সকালে দৌড় করিয়ে ১৪ কেজি ওজন কমিয়ে তারপর ক্ষীরোদমণির চরিত্রে ফাইনাল করেছি। খুব মারতাম সকাল বেলা (হাসি)।

আরও পড়ুন, চেনা ছকে মৈনাক ভৌমিক, প্রসঙ্গ ‘জেনারেশন আমি’

পরিচালক হিসাবে তার মানে পাভেল ভীষণ কড়া?

ডেঞ্জারাস, আমার খুব বদনাম আছে। আমি নাকি ভীষণ বদরাগি। বয়স কম হতে পারে কিন্তু মোটেই হালকা ভাবে নিতে পারেনা কেউ। তবে সবাই ভালও তো বাসে। আসলে ফ্লোরে পরিচালনা ছাড়া বাকি সব কাজও করি, তাতে হয়ত প্রযোজকদের মনে হয় ছেলেটা ভীষণ খেটে কাজ করে। এই মন্দার বাজারেও কিন্তু প্রযোজক রয়েছে আমার কাছে।

তার মানে চিত্রনাট্যই শেষ কথা বলে?

ঠাগস অফ হিন্দুস্থানের বক্স অফিসের অবস্থা তো তাই প্রমাণ করছে। ছবির আসল হিরো হচ্ছে সিনেমার চিত্রনাট্য ও বিষয়।

শিবপ্রসাদ পর্যন্ত পৌঁছলে কীভাবে?

ঘটনাটা ঘটেছিল ফোনে। ঋতু দি আমায় বলেছিল শিবুরা নতুন পরিচালক নিয়ে কাজ করতে চাইছে। তুই একবার যোগাযোগ কর। তারপরেই রসগোল্লা তৈরি হল।

Shiboprosad Mukherjee Nandita Roy