ভারতীয় থিয়েটার দুনিয়ায় নক্ষত্রপতন। ফের এক কিংবদন্তির মৃত্যুর সংবাদ কানে আসছে। ভারতীয় নাট্যকার এবং ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার প্রাক্তন পরিচালক রতন থিয়াম পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে। বুধবার ভোর ২টো নাগাদ মণিপুরের ইম্ফলে তিনি মারা যান। কী হয়েছিল তাঁর? বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। তবে, আর শেষরক্ষা হল না।
ইম্ফলের রিমস হাসপাতালে কোভিড পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়েই তিনি ভর্তি ছিলেন। বেশ কিছুদিন লড়াই করছিলেন তার শরীরের সঙ্গে। বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। চিকিৎসকরা অনেক রকম চেষ্টা করেও তাকে আটকে রাখতে পারলেন না। প্রখ্যাত মণিপুরি নাট্যকার এবং নির্দেশক ছিলেন ভারতের নাট্যচক্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। নাটককে অন্য মাত্রা দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৭ সালের সংগীত নাটক একাডেমী পুরস্কার ভূষিত হয়েছিলেন। এছাড়াও ভারতবর্ষের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রীতেও তিনি ভূষিত হন।
ভারতের থিয়েটার কিংবা মঞ্চ ব্যক্তিত্বদের অন্যতম কিংবদন্তি এবং পথিকৃৎ রতন থিয়াম। তার চক্রব্যূহ, উত্তর প্রিয়দর্শী, প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গে তার আধুনিক আখ্যানের গল্প বলেছিল। এবং বিশ্বব্যাপী নিজের কাজের মাধ্যমে প্রশংসা অর্জন করেছিলেন তিনি। ১৯৭৬ সালে কোরাস রেপার্টরি থিয়েটার প্রতিষ্ঠার আগে, ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি মনিপুরী শিল্পকে ইচ্ছা কন্যা মর্যাদা দিয়েছিলেন। নাটকের বিশেষত্ব ছিল এই যে সামাজিক এবং রাজনৈতিক দুই ভাবেই তিনি মনিপুরের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতেন।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/6a2ad9ff-0e6.jpg)
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং রতন থিয়ামকে, মণিপুরের শ্রদ্ধেয় পুত্র বলে অভিহিত করেন। এবং তার প্রয়াণে তিনি লিখছেন, ভারতীয় থিয়েটারের জ্যোতিষ্ক এবং মনিপুরের সম্মানিত শ্রী রতন গ্রামের মৃত্যুতে আমি গভীর দুঃখের সঙ্গে সমবেদনা জানাই। ইনি শুধু থিয়েটার জগতকে না, গরম গোটা ভারতের কাছে মনিপুরকেও সমৃদ্ধ করেছিলেন। মণিপুরের আত্মাকে নিজের মধ্যে বহন করতেন তিনি। মণিপুরের সংগ্রাম এবং এই সৌন্দর্যকে সকলের সামনে তুলে ধরতেন। প্রকাশ করেছেন মনিপুরের বিজেপি সভাপতিও।
তিনি লিখছেন, থিয়েটার জগতের একজন বিশাল ব্যক্তিত্ব, যিনি মণিপুরের একমাত্র ব্যক্তি ন্যাশনাল স্কুল অফ জমা পরিচালকের মর্যাদাপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। সংস্কৃতি এবং সাহিত্যের থিয়ামের অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।