নায়িকা বিভ্রাট কিংবা নায়ক বিভ্রাট শোনা গেলেও নায়কের জামা বিভ্রাট হয় একথা কোনওদিন শুনেছেন? এরকমই এক সমস্যায় পড়েছিলেন কিংবদন্তী এক অভিনেতা। তাঁর নাম রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দস্তিদার। সম্পূর্ন নামটা শুনে অবাক লাগলেও তাঁকে সকলেই চেনেন রবি ঘোষ হিসেবে। সিনে জগতে এমন বাঘা জুড়ি মেলা ভার।
আয়তনে ছোটখাটো, কিন্তু অভিনয়ে পটু। রবি ঘোষ ছিলেন কৌতুক অভিনেতাদের আন বান শান। তথাকথিত হিরো মাফিক চেহারা তাঁর ছিল না, কিন্তু সংলাপ বলার ধরন এবং অঙ্গভঙ্গি তাঁকে বাংলার চলচ্চিত্রের অন্যতম অভিনেতা হিসেবে স্থান দিয়েছিল। অভিনয়ের দেদার ইচ্ছে তো ছিলই, তবে আরও একটি বিষয়ে তাঁর ঝোঁক ছিল প্রবল। শরীরচর্চা করতে দিব্য ভালবাসতেন রবি ঘোষ। আর এই শরীর নিয়েই একবার চরম ফ্যাসাদে পড়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন < ‘হেরে গেলাম উত্তম..’, মহানায়কের শেষবেলায় সুচিত্রাকে এক বিরাট অধিকার দিয়েছিলেন গৌরী দেবী.. >
গুপী গাইন বাঘা বাইন দেখানো হবে বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভালে। পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তপেন চট্টোপাধ্যায় এবং রবি ঘোষ গিয়েছেন চলচ্চিত্র উৎসবে। দূরদেশে গিয়ে একটু শপিং না করলে হয়? এদিকে, জার্মান প্রদেশে গিয়ে নিজের চেহারার দৌলতে একটিও সঠিক মাপের জামা খুঁজে পাচ্ছেন না রবি ঘোষ। সেদেশের মানুষেরা আয়তনে একটু বড়ই কিনা অন্যদের থেকে। বেজায় নাজেহাল রবি বাবু। অতঃপর, এক জার্মান মহিলার সাহায্যেই রেহাই পেলেন।
আরও পড়ুন < ‘আমার কি মরে যাওয়া উচিত?’ বিয়ের পর থেকেই চূড়ান্ত অশান্তি, নাজেহাল আশিস বিদ্যার্থী! >
সেই জার্মান মহিলা তাঁকে নিয়ে যান কিডস বিভাগে। বাচ্চাদের জামার সাইজ সঠিকভাবে ফিট হয় তাঁর। ব্যাস! বেরিয়ে এলেন সেই জামা গায়ে দিয়ে। তখন তাঁর দিব্য আনন্দ। ছোটদের জামা কিনেই ফিরে আসেন তিনি। এক মুহূর্তের জন্য ভুলে গিয়েছিলেন সব আক্ষেপ।
বাঙালির কাছে বাঘা মানেই রবি ঘোষ। যেমন স্ক্রিনে হাসাতেন তেমন নিজের জীবনেও হাসতে ভালবাসতেন তিনি। মজার চলে এও বলতেন, "আমায় রসেবশে রাখিস মা গো"।