কপিলস ডেভিলস আগেভাগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, টিমের সকলে একসঙ্গে বসে বড়পর্দায় '৮৩' (83) উপভোগ করতে চান। সিনে-প্রিমিয়ারে হলও তাই। কপিল, গাভাস্কার, শাস্ত্রী থেকে অমরনাথ, মদনলাল, রজার বিনিরা সকলে একসঙ্গে সিনেমা দেখলেন। দর্শকাসনে বসে তখন আসল ৮৩ টিম আবেগে ভাসছেন। রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri ) বলছেন, "৮৩ দেখে কেঁদে ফেলেছি, অতীতের কত কথা মনে পড়ে গেল।"
প্রসঙ্গত, ৮৩ সালে লর্ডসের মাঠে ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কপিল-বাহিনী তে ছিলেন রবি শাস্ত্রীও। সেই তিনিই কবীর খান পরিচালিত ৮৩ দেখে আবেগে ভাসলেন। বৃহস্পতিবার এক্সপ্রেস আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন এই ভারতীয় ক্রিকেটার। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন ছোঁড়া হয়েছিল- 'ইকবাল', 'লগান', 'ধোনি বায়োপিক' ও '৮৩'র মধ্যে কোন স্পোর্টস ড্রামাকে তালিকার শীর্ষে রাখবেন? শাস্ত্রীর ঝটপট উত্তর- "অবশ্যই ৮৩।"
<আরও পড়ুন: সুপারস্টারডমের যুগ গিয়েছে, এখন কন্টেন্টই আসল: দেব>
কেন? সেই প্রশ্নের উত্তরও দিলেন তিনি। এক্সপ্রেস আড্ডায় রবি শাস্ত্রী জানালেন, "সিনেমা দেখার সময় আমার চোখে জল চলে এসেছিল। ৮৩র জয়ী টিমের সদস্য হিসেবে নয়, আসলে ছবিটা যখন শেষ হল অতীতের অনেক স্মৃতি ভেসে উঠল চোখের সামনে।"
পাশাপাশি পরিচালক কবীরের (Kabir Khan) গোটা টিমের কসরতকেও বাহবা দিলেন শাস্ত্রী। "প্রত্যেকটা অভিনেতা পর্দায় বিশ্বকাপ জয়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে যে পরিমাণ প্রচেষ্টা করেছেন, তাদের এই প্রয়াস সত্যই প্রশংসনীয়। যেমন- রণবীর সিংয়ের (Ranveer Singh) কথাই ধরুন। পর্দায় প্রত্যেকটা চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলতে তাঁরা নিজেদের পুরোপুরি ঢেলে দিয়েছেন। ওরকম ঐতিহাসিক একটা মুহূর্ত পর্দায় তুলে ধরা সহজ কাজ নয়। কিন্তু কবীর এবং ওঁর টিম খুব দক্ষভাবেই সেটা ফুটিয়ে তুলেছেন", বলছেন ৮৪ টিমের প্রবীণ ক্রিকেটার।
শাস্ত্রীর মন্তব্য, "রিয়েল লাইফকে রিল-লাইফে পরিণত করা অত সহজ নয়। কিন্তু আমার মনে হয়, ওঁরা দারুণ কাজ করেছে। সিনেমায় এমন কিছু দৃশ্য রয়েছে, যা দেখে স্মৃতিতে ভেসে গিয়েছিলাম। চোখে জল চলে এসেছিল আমার। দারুণ সিনেমা। সবার দেখা উচিত। তাই দর্শকদের বলব, হলে যান, গিয়ে সিনেমাটা দেখে আসুন। আপনাদের ভাল লাগবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন