Advertisment

৯৬ মৃণাল, জন্মদিন স্মরণে বিশিষ্টরা

মৃত্যুর পর মঙ্গলবার তাঁর প্রথম জন্মদিন। মৃণালের প্রয়াণে অস্তাচলে যাওয়া বাংলা চলচ্চিত্রেরও যেন আংশিক প্রাণ বিয়োগ হয়েছিল। এদিন তাঁর জন্মদিনে সেই পুরোনো অধ্যায়কেই ফিরে দেখলেও বিশিষ্ট জনেরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Veteran filmmaker Mrinal Sen addresses at Nandan during a function on occation of Sen's 90th birthday in Kolkata on Monday. Express Photo by Partha Pul

৯৬ এ মৃণাল সেন। ফোটো- পার্থ পাল

২০১৮র ৩০ ডিসেম্বর, ইহলোক ত্যাগ করেছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন। মৃত্যুর পর মঙ্গলবার তাঁর প্রথম জন্মদিন। মৃণালের প্রয়াণে অস্তাচলে যাওয়া বাংলা চলচ্চিত্রেরও যেন আংশিক প্রাণ বিয়োগ হয়েছিল। এদিন তাঁর জন্মদিনে সেই পুরোনো অধ্যায়কেই ফিরে দেখলেও বিশিষ্ট জনেরা। সোশাল মিডিয়ায় পরিচালককে শ্রদ্ধা জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রত্যেকে।

Advertisment

তবে যে মৃণাল সেনের বিষয়ে আমাদের এত আবেগ, যে চলচ্চিত্র স্রষ্টা সম্বন্ধে আমরা বলে চলেছি যে ঋত্বিক, সত্যজিতের সঙ্গে তবু তাঁর জন্মদিনে তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে ভোলেনি বাঙালি। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্ব সংস্কৃতির পরিসরে বিশেষ মর্যাদার আসন দিয়েছিলেন। সেই মৃণাল সেনের একাধিক ছবি হারিয়ে গেছে।

১৯২৩ সালের ১৪ মে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতের ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন এই বাঙালি পরিচালক। ১৯৮৩ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয় তাঁকে। ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কারেও সম্মানিত করা হয় পরিচালককে। রাজ্যসভার সদস্যও ছিলেন তিনি। ১৯৫৫ সালে ‘রাতভোর’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে যাত্রা শুরু মৃণাল সেনের। সে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমার।

প্রথম ছবিতে তেমন সাফল্য না পেলেও পরের ছবি ‘নীল আকাশের নীচে’-তে নিজের জাত চেনান তিনি। এরপর ‘বাইশে শ্রাবণ’ ছবির হাত ধরে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি মেলে মৃণাল সেনের। ‘ভুবনসোম’, ‘কোরাস’, ‘মৃগয়া’, ‘আকালের সন্ধানে’, ‘খারিজ’, ‘ক্যালকাটা ৭১’ মতো সিনেমাগুলি চিরকাল সিনেপ্রেমীদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে থাকবে। এই ছবিগুলি জাতীয় পুরস্কার এনে দিয়েছে মৃণাল সেনকে। ২০০২ সালে শেষবার ক্যামেরার পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন পরিচালক, ছবির নাম ‘আমার ভুবন’।

Mamata Banerjee Mrinal Sen rituparna sengupta prosenjit chatterjee
Advertisment