List of Republic Day Patriotic Songs in Bengali: প্রজাতন্ত্র দিবসের সক্কালে পাড়ার মোড়ে মোড়ে দেশাত্মবোধক গান চলবে না এমন দুর্দিনে সংস্কৃতি মনস্ক বাংলার মানুষ এখনও এসে পৌঁছয়নি। বাঙালি তার জীবন ধারণের নিয়মের মধ্যে এনে ফেলেছে প্রজাতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবসের মতো বিশেষ দিনগুলো। এই দিনগুলোতে নিজেদের মতো করে সাংস্কৃতিক সকাল বা সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। যেখানে আপনার দেশাত্মবোধ জাগ্রত হবেই হবে। গান, কবিতা যাই বলুন তার মধ্যে দিয়ে দেশমাতৃকার জন্যে বলিদানের গাথা আপনি শুনতে পাবেন। বাঙালির গানের তালিকা খুঁজে দেখলে গোটা পাঁচেক এমন গান তো বেরোবেই।
বাঙালির আইকন সুভাষ চন্দ্র বোসের জন্মদিবসের কিছুদিন পরই আসে প্রজাতন্ত্র দিবস। ফলে প্লে লিস্ট মোটামুটি তৈরিই থাকে। ২৬ জানুয়ারীর শুরুটা রবীন্দ্রনাথকে দিয়ে শুরু করাই যায়।
জন গণ মন- দেশের জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে দিনটার শুরু হবে এটাই স্বাভাবিক। তারওপরে রবীন্দ্রনাথের লেখা হওয়ায় বাঙালির একটা উপরি আবেগ থাকেই। ফলে দিনের শুরুটা হয় রবি ঠাকুরকে দিয়ে।
ও আমার দেশের মাটি- আবারও রবি ঠাকুর। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত আমাদের দেশে দেশাত্মবোধক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। গানটি রবীন্দ্র সঙ্গীতের স্বদেশ পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত।
কারার ঐ লৌহ কপাট- বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের এই গানও বাঙালির প্রজাতন্ত্র দিবসের তালিকায় দিব্যি ঢুকে যায়। নজরুলের ভাঙার গান হিসাবে পরিচিত এই গান।
উঠ গো ভারত লক্ষ্মী- বাঙালির দেশাত্মবোধক গানের তালিকায় আরও একটি সংযোজন অতুলপ্রসাদ সেনের এই গান। অতুলপ্রসাদী এই গান দেশপ্রেমের গান হিসাবেই প্রচলিত।
দুর্গম গিরি কান্তর মরু- নজরুল ইসলামের এই গান দুঃসময়ে প্রেরণা জাগানোর গান। সাম্য, মৈত্রী ও জাগরনের গান এই নজরুলগীতি। এই গানের কথা ও সুর বিদ্রোহী কবির।
আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে- দেশপ্রেমের গান বললে বার বার ফিরে যেতে হয় রবীন্দ্রনাথে। এই গানটিও রবীন্দ্রনাথের স্বদেশ পর্যায়ের গান।
বাংলার মাটি বাংলার জল- এই গানের গীতিকার ও সুরকার দুইই বিশ্বকবি। গীতবিতানের স্বদেশ পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত।
মায়ের দেওয়া মোটা কাপড়- রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, অতুলপ্রসাদ, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের মতো রজনীকান্ত সেন লিখেছিলেন মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় গানটি। স্বদেশি আন্দোলনের সময় রচিত হওয়া গানগুলোর মধ্যে এই গানটি জনপ্রিয়তা পায়।
ভারত আমার ভারতবর্ষ- শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এই গানও দেশাত্মবোধকে জাগ্রত করে। অজয় দাসের সুরে গানটি গেয়েছিলেন মান্না দে।
ভারতবর্ষ সূর্যের এক নাম- শিবদাস বন্দ্যোরপাধ্যায়ের লেখায় এই গানটির সুর করেছিলেন ওয়াই এস্ মুলকি। ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যার গেয়েছে এই গানটি।
বন্দেমাতরম- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৮২ সালে আনন্দমঠ উপন্যাসে লিখেছিলেন এই গান। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে সর্বপ্রথম রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গাওয়া হয় বন্দেমাতরম। তারপর থেকেই দেশত্মবোধক গানের তালিকায় সবার ওপরে জায়গা করে নিয়েছে এই গান।