World Music Day: সুরের টানে ফেরা, বিশ্ব সংগীত দিবসে অরিন্দমের ছাদঘরের গল্প!

হেমন্ত, সলিল, সুবীর নাম গুলো চেনা। তবে এদের গান এখন কজন শুনছে হাতে গুনে বলতে পারবে? বদলেছে সময়। বদলেছে কলকাতা। একটা সময় ছিল, যখন সন্ধে নামার সঙ্গে সঙ্গেই পাড়ার বাড়িগুলো ভেসে আসত গানের রেওয়াজ। কারও বাড়ি থেকে ভেসে আসত হারমোনিয়ামের সঙ্গত, কারও জানলায় চোখ গেলে দেখা যেত সঙ্গীত শিক্ষকের গলা—“সা রে গা মা…”। এক্সপ্রেস ফটো - শশী ঘোষ

গান ছিল জীবনের ছন্দ, হৃদয়ের প্রশান্তি। গানের স্কুল ছিল গলির মাথায়, দোতলার বারান্দায়, ছাদের চিলেকোঠায়। সে ছিল এক অন্যরকম সময়। তখন ইউটিউব ছিল এসবের অনেক বাইরে। বরং মুখে মুখে, সুরে সুরে শেখা হত গান। এক্সপ্রেস ফটো - শশী ঘোষ

মায়ের সঙ্গে রবীন্দ্রসঙ্গীত, বাবার সঙ্গে সন্ধেবেলায় এলভিস, সঙ্গীত ছিল এক পরিবারের অংশ। সময় বদলেছে। সবকিছু আজ পর্দার আড়ালে। এখন গান শেখা যায় টিউটোরিয়াল দেখে, অটো-টিউনের ছোঁয়ায় ভুল সুরও হয়ে যায় শুদ্ধ। ছাদ থেকে সরেছে গান, ঢুকে পড়েছে সফটওয়্যারে। এক্সপ্রেস ফটো - শশী ঘোষ

অথচ কিছু মানুষ রয়েই গেছেন, যাঁরা এখনও মনে করেন, সুরের আসল ঠিকানা হৃদয়ে, সফটওয়্যারে নয়। তেমনই একজন, যাদবপুরের অরিন্দম। একটি পুরনো বাড়ির ছাদের ঘরে বসে আজও নিয়ম করে গিটার শেখান তিনি। এক্সপ্রেস ফটো - শশী ঘোষ

একেবারে সোজা, নির্জন অথচ সুরে ভরা সেই ঘরে প্রতিদিন আসে ছেলেমেয়েরা, কেউ কলেজ পড়ুয়া, কেউ অফিস ফেরত যুবক, কেউ বা আবার অ আ শেখা শিশু। অরিন্দম কারও নাম নিয়ে নয়, সুর নিয়েই চেনেন সবাইকে। এক্সপ্রেস ফটো - শশী ঘোষ

১৯৯৮ সাল থেকে গিটার বাজাচ্ছেন তিনি। বলিউডের পুরনো গান, অঞ্জন দত্ত, নচিকেতা, জন ডেনভার, এলভিস, এই সব শিল্পীদের গানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। সেই গানের মধ্যে ছিল গল্প, ছিল হাহাকার, ছিল আশ্রয়। এক্সপ্রেস ফটো - শশী ঘোষ

১৯৯৮ সাল থেকে গিটার বাজাচ্ছেন তিনি। বলিউডের পুরনো গান, অঞ্জন দত্ত, নচিকেতা, জন ডেনভার, এলভিস, এই সব শিল্পীদের গানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। সেই গানের মধ্যে ছিল গল্প, ছিল হাহাকার, ছিল আশ্রয়। এক্সপ্রেস ফটো - শশী ঘোষ

১৯৯৮ সাল থেকে গিটার বাজাচ্ছেন তিনি। বলিউডের পুরনো গান, অঞ্জন দত্ত, নচিকেতা, জন ডেনভার, এলভিস, এই সব শিল্পীদের গানেই তাঁর বেড়ে ওঠা। সেই গানের মধ্যে ছিল গল্প, ছিল হাহাকার, ছিল আশ্রয়। এক্সপ্রেস ফটো - শশী ঘোষ

আজ বিশ্ব সংগীত দিবস। আমরা হয়তো সবাই এখন ব্যস্ত, কর্পোরেট ডেস্কে গান শুনি কানে হেডফোন গুঁজে, রিল বানাতে গান কাটিং করি, তবু, কোথাও না কোথাও অরিন্দমদের মতো কিছু মানুষ আজও ছাদে বসে সুর বোনেন। শেখান কেমন করে মিউজিককে ভালোবেসে ছুঁতে হয়। এই ভালোবাসাটাই হারিয়ে যেতে দেওয়া যায় না। এক্সপ্রেস ফটো - শশী ঘোষ