Salman Khan's Sikandar Review: বলতেই হয় সলমন খান অর্থাৎ সঞ্জয় যথেষ্ট স্ট্রাগল করেছেন এই ছবিতে। কিন্তু, চ্যালেঞ্জ মোটেই খাটল না।
গোটা ছবিতে তাঁকে আবেগ এবং অ্যাকশনের গতির মধ্য দিয়ে যেতে দেখা যাবে। তিনি সংলাপ বলছেন, নাচছেন, রোমান্স করছেন, চোখের জল ফেলছেন -তবে কোথাও টিপিকাল সলমন যেন মিসিং ছিলেন এই ছবিতে। গত ত্রিশ বছরে তিনি যা ছিলেন তা ছাড়া অন্য কিছু হওয়ার ভান করেননি। তারকা তার খুব নির্দিষ্ট স্টাইল-এবং-সোয়াগের দিকে সবসময় নজর দিয়েছেন। বাল্ক আপ আর্মস কিংবা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় মেনে চলেছেন।
২০২৫ সালে, যখন তিন খান ৬০ বছরে পা দিলেন, প্রাসঙ্গিক থাকার লড়াইটা এতটা কঠিন ছিল না। পৃথিবী বদলে গেছে, কিন্তু সলমন মানিয়ে নিতে পারেননি। আমির খানের 'গজনি' সিনেমার মাধ্যমে হিন্দিভাষী দর্শকদের কাছে পরিচিত হয়ে ওঠা এ আর মুরুগাদোসও তার তারকা উপস্থিতিতে তার বিট খুঁজে পাননি।'সিকান্দার'-এ পরিচালক এবং তারকা দু'জনেই আমাদের এমন কিছু দিতে ব্যর্থ হয়েছেন যা আমরা আগে দেখিনি। প্রথম ভাগ খুব ম্লান প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুরু হয়, ভাইজান এন্ট্রি নিয়েই বিমানের প্রথম শ্রেণির কেবিনে একজন অধিকারী মন্ত্রীর ছেলেকে(প্রতীক বাব্বর) কে শিক্ষা দেয়।
এর পরে গল্পের বুনট খুব আলগা। অলস, সূত্রযুক্ত লেখায় কোনও সতেজতা নেই। রাজকোটের রাজাকে অহংকারী নেতা (সত্যরাজ), সহযোগী পুলিশ (কিশোর) এবং তাদের গুন্ডাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রশ্মিকার সঙ্গে তাঁর হালকা রোমান্স চলতে থাকে।
অন্যান্য পার্শ্ব অভিনেতাদের ভুমিকা সিকান্দারকে ঘিরে আবর্তিত। প্রতিভাবান শরমন জোশীকে আক্ষরিক অর্থে ব্যাকগ্রাউন্ডে রাখা হয়েছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি এই ছবিতে। অতীতে, সলমন সর্বদা সর্বদা অনুভূতি জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। শাহরুখ খানের 'পাঠান'-এ তাঁর ওয়াক-অন অংশ বেশ পছন্দ করেছিলেন দর্শকরা। কিন্তু, এক্ষেত্রে একেবারেই নিজেকে জমিয়ে রাখতে পারেননি তিনি।
ছবিতে সিকান্দারের একটি ডায়লগ আছে আই অ্যাম ডান। হয়তো আগে থেকেই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন ভাইজান। ভীষণ নিস্তেজ একটা ছবি। স্ক্রিনে দেখার মতো কিছুই নেই। যে ভাই পর্দায় এসে ধুয়াধার মারপিট করে, বদমাইশদের শাস্তি দেয়, সে কোথায় গেল? কেউ কি তাকে ফিরিয়ে দিতে পারবে? ছবি দেখে অন্তত মাথা ঠিক রাখা সম্ভব না।
- ছবির নামঃ সিকান্দার
- পরিচালকঃ এ আর মুরুগাদোসও
- অভিনয়েঃ সলমন খান, রশ্মিকা মান্দানা, সত্যরাজ, শরমন যোশী ও অন্যান্য
- রেটিংঃ ১.৫/৫