অবশেষ পাঁচ মাসের শেষে আজ শিয়ালদহ কোর্ট থেকে জানানো হয়েছে, আরজি কর কান্ডের অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় দোষী এবং তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যদিও বা বারবার সকাল থেকে দাবি ছিল একটি, মৃত্যুদণ্ড। সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু, সেটি আর হল না।
দীর্ঘদিনের আন্দোলন থেকে অনশন সব কি আজ বৃথা? নাকি আদালতের রায়ে তাঁরা খুশি? অনেক তারকারাই এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। কেউ কেউ তো রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ পর্যন্ত করেছিলেন। তাহলে আজকের রায় নিয়ে কে কী বলছেন? যদিও বা আদালতের রায় নিয়ে কেউ বিচার করতে রাজি না। কিন্তু কাঞ্চন মল্লিক, যিনি এর আগে আরজি কর কান্ডে মুখ খুলে বিপদে পড়েছিলেন, যিনি বলেছিলেন, যে চিকিৎসকরা আন্দোলন করছেন তারা সরকারি সুবিধা নেবেন না তো? যে অভিনেতারা সরকারের তরফে পুরস্কার পেয়েছেন তারা ফেরত দেবেন তো? এবার তিনি বিচারের প্রসঙ্গে বলেন...
"আমরা দোষীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চেয়েছিলাম। আদালত আমৃত্যু কারাদণ্ড শুনিয়েছে। এবার অপরাধ করার আগে সকলে ভাববে।" অন্যদিকে, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় যিনি আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁকেও আদালতের ওপর ভরসা রাখতেই শোনা গেল। তিনি বলছেন, তদন্তের ফলাফল, যে সঞ্জয় রায় দোষী। আর এক্ষেত্রে সকলকে সেই নির্দেশ মানতে হবেই। অভিনেতা একদিকে স্বস্তিতে, যে কিছু একটা সাজা যে শোনানো হয়েছে। বাদ পড়লেন না, রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি নানা সময় নানা মন্তব্য রেখেছেন। এবার তাঁকে বলতে শোনা গেল...
এরকম একজন অপরাধীকে কেন বাঁচিয়ে রাখা হল আমার সেটাই প্রশ্ন! তাহলে বাকিরা কই? যারা তথ্য প্রমাণ লোপাট করল? যারা নানা মন্তব্য শোনালো? তাঁদের নিয়ে আদালতে কিছু উঠল না কেন? আমার মনে হয়, যদি মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হত তাহলে হয়তো, সে ভয়ে অনেককিছু বলে দিত।"
উল্লেখ্য, শনিবার রায় ঘোষণা হয় যে সঞ্জয় নাকি একমাত্র দোষী। এবং তাঁর সঙ্গে সঙ্গে এও জানানো হয় যে দোষীর সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড এবং সর্বনিম্ন সাজা যাবজ্জীবন। কিন্তু, আজ তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিতেই অনেকেই এর বিরোধিতা করেছেন।