শেষ কিছুদিন ধরেই আর জি করের মেয়েটির জন্য কাঁদছে গোটা বাংলা। একজন প্রমিজিং ডাক্তার, তাঁর ভয়ঙ্কর মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশ তথা বিদেশের মানুষকেও। এহেন অত্যাচার, এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ।
তারকারা অবশ্যই পিছিয়ে নেই। শুরুর দিন থেকে শ্রীলেখা মিত্র, দেবলীনা দত্ত, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অনেকেই সামিল হয়েছিলেন লড়াইয়ে। আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ে, নিজের এবং সেই মেয়েটির প্রতিবাদে হেঁটে চলেছেন, গলা চড়িয়ে চলেছেন। কিন্তু, দুই নায়িকাকে নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। অভিনেত্রী রচনা বন্দোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। দুই নায়িকার অভিব্যক্তি ঠিক এমনই যে, তারা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কিন্তু, এতদিন ধরে তারা কই ছিলেন? প্রশ্ন উঠছে এমনই।
কেন কোনও প্রশ্ন তোলেননি? আর যখন ৫-৬ দিন ঘৃণ্য নারকীয় ঘটনার পরবর্তীতে তাঁরা মুখ খুললেন, এমন কটাক্ষের শিকার হলেন, যে বলার ভাষা নেই। কেন? গতকাল থেকেই ভাইরাল রচনা বন্দোপাধ্যায়ের ভিডিও। অভিনেত্রী, কেঁদে আকুল। এই ঘটনায় তিনি চিন্তিত। আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ে যারা ট্রেনে বাসে করে অফিসে যায়, তাদের নিয়ে ভাবনার রেশ তাঁর। বর্তমানে তিনি সংসদ বটে। কিন্তু রচনার এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই, রেগে আগুন সমাজ মাধ্যমের প্রায় সকলেই। বেশিরভাগ এমনি দাবি করেছেন যে, রচনা ছয় দিন ধরে স্ক্রীপ্ট লিখছিলেন? এত অভিনয় করার দরকার কী ছিল? এবার কেউ বলছেন, উনার অভিনয় তো কুমিরের কান্নার মত।
অন্যদিকে, আরেকজন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি তো নির্দেশমত শঙ্খ বাজালেন। কিন্তু তাই বলে এডিট? যেভাবে শঙ্খ বাজালেন, বেশিরভাগের প্রশ্ন এমনই, শঙ্খ বাজাচ্ছেন না জল খাচ্ছেন? বীভৎস ট্রোলের কবলে তিনি। তাঁর বিচারের দাবি চাওয়ার দৃশ্যটি যে, সাংঘাতিক নাটুকে - একথা সাধারণ মানুষ বারবার মনে করিয়ে দিলেন। সমাজ মাধ্যমের পাতায় ঘুরছে নানা মিম। কেউ বলছেন, "আমরা যদি বড়লোক হতাম, তবে জল শঙ্খ দিয়ে জল খেতাম। আরও কেউ বললেন, নাটকের অনন্য অধ্যায়, আমাদের দিতেন। এডিটটা ভাল করে দিতাম।"
কিন্তু, দুই নায়িকা যখন ট্রোল হতে ব্যস্ত। অন্যদিকে, নায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কিন্তু নিঃশব্দে সামিল হলেন আজকের মিছিলে। কথা বলতেই শোনা গেল না তাঁকে। সমাজ মাধ্যমের পাতায় তাঁর মন্তব্য নজর কেড়েছিল। কিন্তু, সাদা পোশাক পরে সকলের প্রিয় বুম্বা-দা হাঁটলেন। মোমবাতি জ্বালালেন। দুই চিত্রে বিস্তর ফারাক। যদিও, আজ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাঁটলেন রচনা। ফাঁসির দাবিতে পথে নেমেছিলেন তাঁরা। আগামীকাল ও মিছিল যাবে আরজি করে।