Rhea Chakraborty Sushant Singh Rajput: দীর্ঘ পাঁচ বছরের লড়াইয়ের অবসান। ২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রায় নিজের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃতদেহ। সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল অভিনেতাকে। সুশান্তের মৃত্যু অত্মহত্যা না খুন সেই নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে সুশান্তের বান্ধবী রেহা চক্রবর্তী সহ আরও অনেকের। শনিবার মুম্বই আদালতে সিবিআই এই মামলার অন্তিম রিপোর্ট জমা দিয়ে জানিয়ে দেয় আত্মহত্যাই করেছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছে অভিনেত্রীর পরিবারকেও। সিবিআই-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রেহার আইনজীবী Satish Maneshinde। মুম্বই হাই কোর্টের এই সিনিয়ার আইনজীবী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সিবিআই ঘটনার সঠিক তদন্ত করেই তদন্তের অন্তিম রিপোর্ট জমা দিয়েছে। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়াকে একহাত নিয়েছেন অভিনেত্রীর আইনজীবী।
ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, 'সোশ্যাল মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ঘটনার যে মিথ্যা বিবরণ দেওয়া হয়েছিল সেটা অপ্রয়োজনীয়। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষ টিভি, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আশক্ত ছিলেন। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে কোনও ঘটনার যাবতীয় আপডেট পেতে এই মাধ্যমগুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। ঘটনার সঠিক তদন্ত হওয়ার আগেই নিরীহ-নির্দোষ মানুষগুলোকে কাঠগোড়ায় তুলে দেওয়া হয়েছিল। আশা করি এমন ঘটনার আর পুনরাবৃতি হবে না। রেহাকে অনেক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। বিচারপতি সারং ভি কোতোয়াল তাকে জামিনে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কোনও দোষ ছাড়াই ২৭ দিন কারাগারে ছিলেন। রেহা ও তাঁর পরিবার মুখ বুঝে অমানবিক আচরণ সহ্য করেছে। আমি ওঁদের স্যালুট জানাই। ওঁর কাছে সকলের ক্ষমা চাওয়া উচিত।'
সুশান্তের মৃত্যু তদন্তে রেহা ও তাঁর পরিবারকে দেওয়া ক্লিন চিট দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেছেন, 'আইনি কর্তব্য পালনে কোনও বাধাই আমাদের কাজকে রুখতে পারেনি। সংবাদমাধ্যমের একাংশকেও আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। রেহাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে তাঁরা আমার পাশে থেকেছেন।' প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা কেকে সিং ছেলের মৃত্যুর তদন্ত চেয়ে বিহার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
পরিবারের দাবি ছিল, সুশান্তকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু, সিবিআই সেই মামলা নিজের হেফাজতে নিয়ে নেয়। মামলা চলাকীলন সিবিআই রিয়ার বয়ান রেকর্ড করেছিল। এছাড়াও ঘটনায় অভিযুক্ত অভিনেতার কাছের বন্ধুদের মেডিক্যাল রিপোর্টও সংগ্রহ করা হয়েছিল। বিহার পুলিশের কাছে প্রয়াত অভিনেতার বাবা অভিযোগ করেছিলেন, রেহা সুশান্তের টাকা নয়ছয় করেছিলেন। যদিও সেই অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন অভিনেত্রী।