রবিবারই সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যু তদন্ত নিয়ে সিবিআইকে একহাত নিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। মন্তব্য করেছিলেন, "ছয় মাস হয়ে গেল এবার তো অন্তত তাঁদের তদন্ত নিয়ে মুখ খুলুক সিবিআই।" আর তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার উদ্দেশে সুর চড়ালেন রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty) আইনজীবী। বললেন, "রিয়ার বিরুদ্ধে একটা প্রমাণও তো এখনও অবধি দিতে পারল না সিবিআই।"
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের মন্তব্যে সমর্থন জানিয়েই রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে একহাত নিলেন সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বিভাগকে। দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে মানশিন্ডের মত, "অযথা একটা মামলায় রিয়া চক্রবর্তীর নাম জড়িয়ে তাঁকে ১ মাস কারাবন্দি করে রাখা হয়েছিল। অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে, এবার এই মামলার নিষ্পত্তি করা হোক।"
এদিন আইনজীবী মানেশিন্ডে সাফ জানিয়েছেন, "সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে মুম্বই পুলিশ দু’মাস সময় নিয়েছিল বলে তাদের কাছ থেকে তদন্তভার ছিনিয়ে নিয়ে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। জুলাই মাসে রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে পাটনার এক থানায় এফআইআরও দায়ের করা হয়। কিন্তু একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা হয়ে সিবিআই এখনও কোনও রিপোর্ট পেশ করতে পারল না! সিবিআই, ইডি, মুম্বই পুলিশ, এনসিবি, এমনকি বিহার পুলিশ, সবাই মিলে রিয়ার বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতে মরিয়া হয়ে তদন্তে নেমেছিল। তাতেও এখনও কোনও রিপোর্টের কথা জানতে পারল না দেশবাসী। এখনও কোনও প্রমাণই দিতে পারল না ওরা। এর পরিবর্তে একটা ফালতু মামলায় রিয়া ও তাঁর পরিবারকে ফাঁসিয়ে দিয়ে একমাস জেলে বন্দি রাখা হল, যতদিন না বম্বে হাইকোর্ট থেকে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হল। আমি চাই, এবার সেই দুঃখজনক ঘটনার পরিণতি জানতে পারুক সকলে। সত্যমেব জয়তে।"
এখানেই থামেননি রিয়ার আইনজীবী। তিনি আরও বলেন, "রিয়া যে সুশান্তের দিদিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, সেটা নিয়েও কোনও উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি। রিয়া অভিযোগ তুলেছিলেন যে, ভুয়ো প্রেসক্রিপশন দিয়ে সুশান্তকে কিছু ওষুধ খেতে বলেছিলেন তাঁর দিদিরা। বেআইনি ওষুধ ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধের মিশ্রণের ফলেও সুশান্তের মৃত্যু হতে পারে। রিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে এই বিষয়টিরও তদন্ত করা হয়নি। তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, এবার মাস চারেক গড়ানোর পর অন্তত সিবিআই সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু তদন্ত নিয়ে মুখ খুলুক।"