Rhea At Siddhivinayak Temple: দীর্ঘ পাঁচ বছর অনেক ঝড় ঝাপটা সহ্য করেছেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। ২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃতদেহ উদ্ধারের পরই উলোটপালট হয়ে যায় রিয়ার জীবন। সুশান্তের সঙ্গে বান্দ্রার ফ্ল্যাটে একত্রবাস করতেন রিয়া চক্রবর্তী। অভিনেতার পরিবার ও অনুরাগীদের দাবি ছিল, রিয়াই সুশান্তকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সংশোধনাগারেও দিন কাটিয়েছেন রিয়া। এখানেই শেষ নয়, চক্রবর্তী পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল।
রিয়ার উপর সুশান্তকে খুনের দায় পর্যন্ত চাপিয়ে দিয়েছিলেন অনুরাগীরা। শোনা যায়, সুশান্তকে নিয়মিত মাদক সরবারহ করতেন রিয়া ও তাঁর ভাই। সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় 'কালাজাদু'-র মত তত্ত্বও উঠে এসেছে। যার জেরে বদনাম হয়েছে বাঙালি মেয়েরা। পাঁচ বছর পর সিবিআই সুশান্ত মামলার অন্তিম রিপোর্ট জমা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে আত্মহত্যাই করেছেন অভিনেতা। স্বস্তি মিলতেই বাবা ও ভাইকে নিয়ে সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে রিয়া।
প্যাপেদের ক্যামেরায় সেই মুহূর্ত ধরা পড়তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিও। সিবিআই মামলায় ইতি টানার পর প্রথমবার সেলেব পাপারাৎজ্জিদের সামনে রিয়ার পরিবার। হাসি মুখে ক্যামেরায় পোজ দেন তাঁরা। হাত জোড় করে বলতে শোনা যায় 'গণপতি বাপ্পা মরেয়া'। সালোয়ার কামিজ পরে মন্দিরে আসেন রিয়া। সিবিআই অন্তিম রিপোর্ট পেশ করার পর খলনায়িকা থেকে ফের নায়িকা ইমেজ ফেরৎ পেয়েছেন রিয়া। ২০ জুনের পর রাতারাতি খলনায়িকা, ডাইনি, খুনি-র মতো তকমা জুড়ে দেওয়া হয়েছিল রিয়ার নামের সঙ্গে। গণপতি বাপ্পার আশীর্বাদ নিয়ে অতীত ভুলে নতুন জীবন শুরু করবে চক্রবর্তী পরিবার।
রিয়া নির্দোষ প্রমাণ হতেই তাঁর পাশে দাড়িয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির সতীর্থরা। পূজা ভাট, সোনি রাজদান, দিয়া মির্জার মতো সেলেবরা সোশ্যাল মিডিয়ায় রিয়ার জন্য আওয়াজ তুলেছেন। প্রত্যেকের দাবি একটাই, সত্যি যখন সামনে এসেছে তখন তাঁর কাছে প্রত্যেকের ক্ষমা চাওয়া উচিত। তবে এই প্রসঙ্গে এখনও মুখে কুলুপ এটে রয়েছেন রিয়া ও তাঁর পরিবার। তবে রিয়ার ভাই শৌভিক, সোশ্যাল মিডিয়ায় দিদির সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, 'সত্যমেব জয়তে' অর্থাৎ সত্যর জয় হয়েছে।