উত্তপ্ত বাংলাদেশ! গোটা দেশজুড়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের ৩০% আসন সংরক্ষণ চাকরির ক্ষেত্রে। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে দেশ। বন্ধ স্কুল কলেজ। সম্প্রচার বন্ধ সেদেশে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, সংরক্ষণ মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিরা পাবেন, নাকি রাজাকারদের নাতিরা পাবেন? এই নিয়ে এত আন্দোলন করার কী আছে? আওয়ামী লীগের পক্ষেই তিনি দল বানানোর প্ল্যানিং সেরে ফেলেছেন। এমনটাই দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা। কেউ বুক পেতে গুলি নিচ্ছেন, আবার কেউ গর্জে উঠতেই গুলি খাচ্ছেন!
রক্ত আর রক্ত গোটা বাংলাদশের রাজপথ জুড়ে। মারা যাচ্ছেন নাবালক ছাত্ররা। কেবল যেন ছাত্রদের মৃত্যু মিছিল! যেসব দৃশ চোখে পড়ছে সেগুলি রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়ার মতো। আর এর বিরুদ্ধেই আজ গর্জে উঠেছেন ঋদ্ধি সেন থেকে তসলিমা নাসরিন। ঋদ্ধি শামসুর রহমানের পংক্তি উল্লেখ করেই লিখলেন….
আরও পড়ুন - মারণরোগ কেড়ে নিল প্রাণ, একুশেই প্রয়াত T-series পরিবারের কন্যা তিশা
"কে বা কারা আমার পথে বিস্তর কাঁটা বিছিয়ে
আমাকে রক্তাক্ত দেখে বিকট
ভঙ্গিতে নাচতে থাকে, ছড়া কাটে, থুতু ছিটোয়
আমার দিকে। নিশ্চুপ আমি হেঁটে যেতে থাকি উঁচিয়ে
মাথা অন্য কোনওখানে। অন্ধকারের কেল্লা নিশ্চিত
একদিন সুশীল, সুগঠিত, বিশাল মিছিলের স্লোগানে হবে বিলীন।"
এখানেই শেষ না। অভিনেতাকে যেই একজন বলে উঠলেন ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ নিয়ে আপনি বেশি আতঙ্কে মনে হয়! ঋদ্ধি সোজা বললেন… "যে কোনো রাষ্ট্র, শাসক বা সরকারের থেকে ভয়ানক আপনারা , যেকোনো বোমা গুলির থেকেও ভয়ানক এই মানসিকতা।"
পাশপাশি তসলিমা নাসরিন তো এই বিষয় থেকে বাদ যেতেই পারেন না। তিনি যেকোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ভালবাসেন। সেখানে নিজের দেশকে নিয়ে, সংরক্ষণ নিয়ে যখন এত কাটাছেঁড়া, তখন তিনি বললেন…
"রাজাকারের পুত্র কন্যারা সবাই রাজাকারই হবে এ কথা প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন না। তার প্রমাণস্বরূপ রাজাকারের এক পুত্রকে তিনি তাঁর প্রেস সচিবের মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন, শুনেছি তাঁর মেয়ের বিয়েও রাজাকার পরিবারে দিয়েছেন। রাজাকারের পুত্রকন্যারা রাজাকারই হবে এ আমিও বিশ্বাস করি না। সেরকম মুক্তিযোদ্ধার পুত্র কন্যারাও যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাতেই বিশ্বাস করবে এও আমি মনে করি না। প্রধানমন্ত্রীও হয়তো মনে করেন না।"
"পিতামাতা রাজাকার কিংবা মুক্তিযুদ্ধ যেই চেতনারই হোক, সন্তানেরা যেন সুশিক্ষিত হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার কি তার সেই দায়িত্ব পালন করতে পেরেছে? মু্ক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার টানা ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকেও যদি দেশে এত এত রাজাকারের আদর্শের লোক সৃষ্টি হয় তাহলে কি বলা যায় না সরকারের দেশ পরিচলনায় বিরাট গলদ ছিল? রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারের এই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব দেশের বুদ্ধিজীবিদের। বুদ্ধিজীবিরা কি সেই দায়িত্ব পালন করেছেন?"