Amir Khan: সম্পর্কের বিচ্ছেদ সততই বিরহের। সেই সম্পর্ক যদি প্রথমে প্রণয় এবং পরে পরিণয় হয়, তাহলে মনঃকষ্ট আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আর এমনই এক অবস্থার সম্মুখীন হয়েছিলেন আমির খান। চিনা এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন বলিউডের ভুবন। সাক্ষাৎকারে অকপট আমির খান বলেছেন, ‘প্রথম স্ত্রী রিনা দত্তের সঙ্গে বিচ্ছদের পর যখন আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, তখন কিরণের (পড়ুন কিরণ রাও) ফোন এসেছিল। আমরা তখন বেশ ভালো বন্ধু ছিলাম। কিন্তু তখন সেই মানসিক অবস্থায়, ওর সঙ্গে কথা বলে আমার ভালোই লেগেছিল। ভারাক্রান্ত মন আনন্দে ভরে উঠেছিল। আমরা প্রায় আধ ঘণ্টা কথা বলেছিলাম। ফোন রাখার পর আমার মনে হয়েছিল, ওর সঙ্গে কথা বলে বেশ হালকা মনে হচ্ছে।‘
কিরণ রাওকে জীবনসঙ্গী বাছার নেপথ্যের কারণও এই সাক্ষাৎকারে জানান বলিউডের অন্যতম খান। তিনি বলেন, ‘শক্ত মনের মানুষকে আমার খুব ভালো লাগে। রিনা আর কিরণের মধ্যে মিল ছিল দু’জনেই শক্ত মনের মানুষ। পুরুষ বা মহিলা ভেদে নয়, শক্ত মানসিকতার মানুষই আমার পছন্দের তালিকায়।‘
এদিকে, কাছের মানুষকে হারাতে ভয় পান আমির খান। মিস্টার পারফেকশনিস্টের মনের এই দুর্বল দিক প্রকাশ্যে এনেছিলেন খোদ কিরণ রাও। কফি উইথ করণের এক পর্বে কিরণ বলেছিলেন, ’আমিরের স্ত্রী হিসেবে প্রথমে মানিয়ে নিতে খুব বেগ পেতে হয়েছিল। কারণ সেই সময় প্রথমে প্রেমিকা ও পরে স্ত্রী হিসেবে সম্পর্কে আবদ্ধ হওয়া রিনার সঙ্গে ওর বিচ্ছেদ হয়েছে। আপনজনকে হারানোর এক অদ্ভুত ভীতি কাজ করত আমিরের।‘
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, লগন ছবির শ্যুটিং চলাকালীন আমির-কিরণের সম্পর্ক তৈরি হয়। যদিও সেই সময় দু’জনেই বন্ধু ছিলেন। এমনকি প্রাথমিক ভাবে আমির, কিরণকে লগনের অন্যতম ইউনিট মেম্বার মনে করতেন। এই ছবিতে সহ-পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন কিরণ রাও। পাশাপাশি মনসুন ওয়েডিং ছবিতে মিরা নায়ারের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে কিরণের। ২০১১ সালে ধোবি ঘাট ছবি পরিচালনা করেন এই প্রযোজক-চিত্রনাট্যকার।
অপরদিকে, চলতি বছরের মাঝামাঝি দাম্পত্যে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন এই তারকা দম্পতি। দু'জনে অন্য বিভিন্ন কারণে এক থাকলেও, আইনত বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন কিরণ-আমির। রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে এই ঘোষণা করেছেন তাঁরা। যদিও তারপরেও বলিউডের একাধিক অনুষ্ঠানে এই দুই জনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন