ব্যক্তিগতজীবনে বেজায় রঙিন মনের মানুষ ছিলেন ঋষি কাপুর। যেমন হাসি-ঠাট্টা, মজায় মেতে থাকতে পছন্দ করতেন। ঠিক তেমনই আবার স্পষ্টবক্তা ছিলেন। কথা বলতে তাঁর কোনওদিনই আটকাতো না। যার জন্য অনেকেরই বিরাগ-ভাজন হয়েছিলেন ঋষি। কিন্তু আমৃত্যু নিজেকে বদলাননি। এমনকী, তাঁর অটোবায়োগ্রাফি 'খুল্লামখুল্লা: ঋষি কাপুর আনসেন্সর্ড'-এও নানা বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। একবার এক সাক্ষাৎকারে গোপন পারিবারিক তথ্য ফাঁস করেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা। বাবা হিসেবে ছেলে রণবীর কাপুরের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক বজায় রাখেন, সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন।
ঋষি সাফ জানিয়েছিলেন, "আমি আমার ছেলের ওপর নজর রাখি ঠিকই। কিন্তু কাঁচের জানলার বাইরে থেকে। আমার মনে হয় ওইটুকু স্পেস দরকার হয়। প্রেমিকা কিংবা ওঁর প্রেমজীবন নিয়ে আমি কোনও কথা বলতে চাই না। তবে এটা বলব যে, রণবীর কখনও আমার সামনে সিগারেট খায় না। এই বিষয়টা আমার ভাল লাগে।"
সেই সাক্ষাৎকারে আরেক বিস্ফোরক তথ্যও ফাঁস করেন ঋষি। একবার এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আমিতাভ বচ্চন ও ঋষি, দুজনেই মনোনীত হয়েছিলেন। তবে আয়োজকদের তরফ থেকে ঋষির কাছে খবর যায়- "আপনাকে পুরস্কার, নাম-যশ সবই দেওয়া হবে, কিন্তু তার বদলে আরনাকে টাকা দিতে হবে।" তখনও ঋষি সুপারস্টার হয়ে ওঠেননি বলিউডে। তো সেই পুরস্কার কিনতে ২৫ হাজার টাকা খরচ করেন তিনি। তখনকার দিন হিসেবে অনেকগুলো টাকা! ঋষিকে এই টাকা দিতে বেগ পেতে হয়েছিল। তো অমিতাভকে সরিয়ে তিনিই পুরস্কার জেতেন সবার সামনে। এপ্রসঙ্গে বলেন, "আসলে আমি বড়লোক বাবার বখে যাওয়া ছেলে ছিলাম। তবে পরে একথা ভেবে খুব কষ্ট পেয়েছি।"
শুধু অমিতাভ-ই নন, রাজেশ খান্নার সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক গোড়ার দিকে খুব একটা মধুর ছিল না। একথা সদর্পে নিজমুখে স্বীকার করেছেন ঋষি কাপুর। বলেন, "আমার হয়তো রাজেশের ওপর রাগ হয়েছিল কারণ ও আমার হিরোইন ডিম্পল কাপাডিয়াকে বিয়ে করে নিয়েছিল। ওর সঙ্গে ওইসময়ে আমি একের পর এক সিনেমা করছিলাম। তবে এটা ছাড়া আর কোনও রাগ আমার রাজেশ খান্নার ওপর ছিল না। পরে তো একসঙ্গে আমরা কাজও করেছি। এমনকী, আমার পরিচালনায় উনি অভিনয়ও করেছেন।"
উল্লেখ্য, ঋষির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে আবেগঘন পোস্ট করেছেন নীতু কাপুর, বউমা আলিয়া ভাট ও মেয়ে রিধিমা কাপুর সাহানি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন