অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউ আন্তর্জাতিক বেড়াজাল টপকে ভারত তথা রাজ্যেও আছড়ে পড়েছে। নিত্যদিন সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল প্রায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। কোথাও অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য আবার কোথাও বা হাসপাতালে বেডের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে হচ্ছে মরণাপন্ন কোভিড রোগীর পরিবারকে। উপরন্তু একাধিক জায়গায় ভ্যাকসিনেরও আকাল। সরকারি আশ্বাস মিললেও অনেক জায়গায় আমজনতার নাগালের বাইরে কোভিড ভ্যাকসিন। এমতাবস্থায় এগিয়ে এলেন টলিউড অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)। একশোজন বস্তিবাসীর ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করে দিলেন। শুধু তাই নয়, প্রথম ডোজও নেওয়ালেন তাঁদের।
ঋতাভরী অবশ্য বরাবরই দুস্থদের সেবায় এগিয়ে আসেন। অতীতেও একাধিকবার তাঁর মানবিক অবতার দেখেছে শহর কলকাতা। কখনও তিনি উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন ফুটপাতের শিশুদের সঙ্গে আবার কখনও বা তাঁকে দেখা গিয়েছে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের পাশে। এবার অতিমারী সংকটে এগিয়ে এলেন বস্তিবাসীদের জন্য। তবে ওই একশোজন বস্তিবাসীকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রাজি করা কিন্তু মোটেই সহজ কাজ ছিল না। তবে মা শতরূপা সান্যালের (Satarupa Sanyal) সঙ্গে অভিনেত্রী ঋতাভরী খোদ ময়দানে নেমে এই অসাধ্য সাধন করেছেন।
দত্তাবাদ বস্তির একশোজন প্রবীণ নাগরিককে সম্প্রতি কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। করোনা সংকটে সবথেকে বেশি ঝুঁকি প্রবীণদের, সেই জন্য অভিনেত্রীর এমন উদ্যোগ। উল্লেখ্য, শতরূপা সান্যালের সঙ্গে ‘স্কাড’ (SKUD) নামে একটি এনজিও চালান ঋতাভরী। স্কাডের তরফেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়। পাশে পেয়েছেন বন্ধু রাহুল দাশগুপ্তকেও। প্রথম ডোজের পর এবার তাঁরা দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় রয়েছেন। এই ১০০ জনের দ্বিতীয় ডোজের ব্যবস্থা হয়ে গেলেই তাঁরা আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনবেন বলে জানিয়েছেন ঋতাভরী। অভিনেত্রীর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।