Ritabhari Chakraborty-Srijit Mukherjee: কে কখন কার প্রেমে পড়বে, একথা নিশ্চই বলা সম্ভব না। আর বিশেষ করে টলিপাড়ার বুকে প্রেমের চর্চা চলতেই থাকে। অভিনেত্রীদের সঙ্গে পরিচালকের সম্পর্ক কিন্তু খুব স্বাভাবিক ঘটনা। অনেকে তো সেই প্রেমকে পরিচিতি দিয়েছেন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে। কিন্তু, অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নিয়ে যে আলোচনা চলে?
এতদিনে অভিনেত্রী এই নিয়ে মুখ খুলেছেন। এর আগে, তাঁকে এহেন প্রসঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়নি। দুজনকে কিছুদিন আগেই দেখা গিয়েছে একটি অনুষ্ঠানে। অভিনেত্রীর ক্যালেন্ডার লঞ্চ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। তবে, ২৪ বছরের তখনের ঋতাভরী, সৃজিতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন কেন বা ভেঙেছিলেন কেন, সেই নিয়েই বর্তমানে মুখ খুলেছিলেন। অভিনেত্রীর কাছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় ভীষণ ভাল মানুষ।
সহজে যাকে নিয়ে কথা বলেন না, বা যে সম্পর্ক নিয়ে তিনি বেশি ভাবতে নারাজ, এবার সেইদিনের স্মৃতির ঝোলা খুলে বসেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, "আমি এই নিয়ে কোনদিন বেশি কিছু বলিনি। ও যা ইচ্ছে তাই বলুক। একদম পাগল ও, আমার এজন্যই ওকে খুব পছন্দ। আমরা তাও ৭-৮ বছর কথা বলিনি। কিন্তু এখন বন্ধুত্বটাকে ফিরে পেয়ে, খুব খুশি। আসলে সৃজিত এত বড় পাবলিক ফিগার, আমি ওকে নিয়ে স্বচ্ছন্দে এ বিষয়ে কথা বলব কোন যেন ভাবতেও পারিনি। কেউ একদম সহ্য করতে পারে না। কেউ পারলে ওর গায়ে মি টু ঘোষে থাকে, কেউ আবার ওকে ভীষণ পছন্দ করে। আমি ওকে নিয়ে সব রকম আলোচনায় শুনি।"
সৃজিতকে একটি মিষ্টি নামে ডাকেন অভিনেত্রী। তার মাও খুব পছন্দ করেন পরিচালককে। অভিনেত্রীর কথায়, "ও আমার কাছে গুবলু। ও এমন একজন মানুষ, যাকে আমি এবং আমার মা ভীষণ পছন্দ করি। খুব মিষ্টি একজন। খেতে ভালবাসে কাজ করতে ভালোবাসে। ছবির জন্য সবকিছু করতে পারে।" সৃজিতকে যখন এতই পছন্দ এবং তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ অভিনেত্রী, তাহলে সম্পর্কটাকে এগিয়ে নিলেন না কেন? বছর ২৪ এর অভিনেত্রী তখন নিতান্তই অল্প বয়স। সে কারণে কি কিছু ভুল করে বসেছিলেন?
তিনি বলেন, "আমি ওর মন ভেঙেছি। জানি এটা নিয়ে গর্ব করার কিচ্ছু নেই। কিন্তু আমি যেটা করেছি সেটা ভুল। অনেক বছর ধরে শুধু এটাই ভেবে গেছে হয়তো আমাকে ঘেন্না করে। চিটিং বা কিছু করিনি। যদিও কি আর বলব তখন আমার ২৪ বছর বয়স। মাঝখানে অনেকগুলো বছর, হয়তো ওর কোন কাজ ভালো লেগেছে ভেবেছি ফোন বা মেসেজ করে জানায় কিন্তু সাহস করে বলে উঠতে পারিনি। ভুলটা আমারই ছিল।" তাহলে এতদিন পর সবটা মিটলো কি করে? অভিনেত্রী কি নিজেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন? আসলে ঘটনাটা একদম উল্টো।
বরং সৃজিত, নিজের দায়িত্ব নিয়ে অভিনেত্রী এবং তার প্রাক্তন প্রেমিক তথাগতর সম্পর্ক এবং বিয়ের প্ল্যানিং নিয়ে জানতে পেরে তাঁকে মেসেজ করেছিলেন। এরপরই একদিন সবটা নিজেরা মিটিয়ে নেন। আসলে কথা বললে কি না হয়? সৃজিতের সঙ্গে বসেও ঠিক ভুলের আসর জমিয়েছিলেন নায়িকা।