টলিপাড়ায় যৌণ হেনস্থার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও প্রকাশ্যে এসেছে অভিনেত্রীদের অভিযোগ। টলিপাড়ার পরিচালকদের বিরুদ্ধে, নানা মন্তব্য নজরে এসেছে। এবার সেই দলে যোগ দিলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী।
অনেক ছোট বয়সে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন। সেই সুবাদে, অনেকেরই মুখ এবং মুখোশের পার্থক্য করে ফেলেছেন অভিনেত্রী। আর সেই নিয়েই এবার পোস্ট করলেন সমাজ মাধ্যমে। গত দুদিন ধরে মালায়ালম ইন্ডাস্ট্রির নানা ভয়ঙ্কর ঘটনা, অভিনেত্রীদের সঙ্গে যৌণ হেনস্থার ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। শ্রীলেখার অভিযোগে মালয়ালি পরিচালক, রনজিৎ কেরালা চলচ্চিত্রের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। নানা অভিনেত্রীর কাছ থেকে উঠে ঘৃণ্য সব ঘটনার কথা।
আর তাঁর মাঝেই টলিপাড়ার ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে যে এমন মানুষ নেহাত কম নেই, সেকথা জানালেন ঋতাভরী। অভিনেত্রী সোজা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ করলেন। বিচারের দাবি করলেন। তিনি সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্টে লিখছেন...
"হেমা কমিটির রিপোর্ট, মালায়ালম ইন্ডাস্ট্রির নানা কুরুচিকর ঘটনা, এবং যৌণ হেনস্থার কথা প্রকাশ্যে আনছে। আমি ভাবছি, বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কেন এই পদক্ষেপ নিচ্ছে না? যা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসছে, আমি এবং আমার মত অনেক অভিনেত্রী যাদের আমি চিনি, তাঁরা এরকম অনেক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন, বা হয়ে চলেছেন।" অভিনেত্রী কাউকে বাদ দিলেন না। তাঁর নিশানায় রয়েছে প্রযোজক থেকে হিরো অনেকেই। তিনি আরও লিখছেন...
"অনেক হিরো, প্রযোজক, পরিচালক তারা এহেন অপরাধ করেও প্রতিনিয়ত, স্বাধীনভাবে কাজ করে চলেছেন। তাঁদের কাজকর্মের জন্য কোনও শাস্তি তাঁরা পায়নি। এমনকি, আমি তো দেখলাম যে তারা প্রতিবাদ মিছিলে মোমবাতি নিয়ে পর্যন্ত হাঁটছে। হাবভাব এমন, আমার তো মনে হয় না তারা মেয়েদের একটা মাংসের দলা ছাড়া আর কিছু ভাবে? এই মুখোশধারী রাক্ষসগুলোকে চিহ্নিত করা উচিত। আমি আমার সব কাছের অভিনেত্রীদের বলছি, তোমরা এগিয়ে আসো। এদের মুখোশ টেনে খুলে ফেল।"
অভিনেত্রী থামলেন না। বরং সোজাসুজি তাঁর পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বিচারের দাবি করলেন। তাঁর কথায়, "দিদি আমরা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে এরকম একটি তদন্ত এবং বিচার চাই। না, আমরা আরেকটা ধর্ষণ চাই না, তাঁর আগে এমন কিছু করতে চাই, যাতে একটা বিহিত হয়। বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে আছে মানে এই না, যেকোনও পুরুষ আমাদের কমোডিটি বা যৌণ বস্তু বলে দেখবে।"