বড়দিন উপলক্ষে দুর্গতদের জন্য সান্তা সাজলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)। সান্তার মতো লাল জোব্বা, লাল টুপি নেই বটে! কিন্তু বড়দিন উপলক্ষে কচিকাঁচাদের অনাবিল আনন্দ দিয়ে তিনি যেন প্রকৃতপক্ষেই 'সান্তাবুড়ো' হয়ে উঠেছেন 'আইডিয়াল স্কুল ফর দ্য ডিফ'-এর পড়ুয়াদের কাছে। ঋতাভরী অবশ্য বরাবরই সামাজিক কাজকর্ম করতে ভালবাসেন। উৎসব মানেই তাঁর কাছে দুস্থদের মুখে হাসি ফোটানো। বড়দিনের আগেও তার অন্যথা হল না। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল পৌঁছে গেলেন বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন বাচ্চাদের স্কুলে। সঙ্গে রঙিন কাগজে মোড়া ছোট-বড় বাক্স। কোনওটায় বল, কোনওটায় খেলনা। কোনওটায় বা আবার প্রয়োজনীয় জিনিস। তবে হ্যাঁ, কচিকাঁচাদের সঙ্গে বড়দিন উদযাপন করতে গিয়ে কিন্তু সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক-স্যানিটাইজারের প্রয়োগ ভুললেন না তিনি।
রাত পোহালেই বড়দিন। আর উৎসব মানেই তো আপনজন, আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া, বেজায় আনন্দ। বড়দিন হলে তো কোনও কথাই নেই। কেক-পেস্ট্রি সহযোগে দেদার পার্টি। তার সঙ্গে নতুন জামা-কাপড়, জুতো তো আছেই! কিন্তু ওরা? যারা পথের ধারে খোলা আকাশের নিচে বসে শুধু নতুন বছরের আনন্দে আতসবাজির রোশনাই দেখে! ক্রিস্টমাস পার্টি তো দূরে থাক, তাদের সঙ্গে কেউ আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার কথা অবধি ভাবে না। তবে ঋতাভরী চক্রবর্তী ভেবেছেন। এদিন ‘সিক্রেট’ সান্তা সেজে ওদের মধ্যে বিলিয়ে দিলেন আনন্দ।
'আইডিয়াল স্কুল ফর দ্য ডিফ'-এর পড়ুয়াদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামেও শেয়ার করেছেন। ওরা ওদের 'প্রিয় ঋতাভরীদিদিকে' হয়তো আনন্দের কথা মুখ ফুটে বলতে পারেনি। তবে ওদের নির্মল হাসিগুলোই আনন্দের প্রমাণ। প্রতিবছরই অবশ্য উৎসবের দিনগুলোতে ঋতাভরী আসেন ওদের সঙ্গে সময় কাটাতে। এবার অতিমারী আবহেও তার অন্যথা হল না। বরং সুরক্ষাবিধি মেনে যথাযথভাবে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করেই আগাম বড়দিন উদযাপনে মাতলেন অভিনেত্রী।