সুচিত্রা ভট্টাচার্য অভিনেত্রীর পছন্দের, আর হবেন নাই বা কেন? লেখিকার উপন্যাসই তো অভিনেত্রীকে জাতীয় পুরস্কার এনে দিয়েছিল। এদিন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর বাড়িতে আড্ডা দিতে দিতে উঠে এল 'দহন' থেকে 'মিতিন মাসি'-র কথা। তবে এবারের আড্ডাটা কিন্তু গহীন হৃদয় থেকে। পরিচালক-অভিনেত্রীর সাত নম্বর কাজ, তার ওপর সুচিত্রা ভট্টাচার্যের গল্প। সবটা মিলিয়ে যেন ম্যাজিক আসছে বড়পর্দায়।
আবারও তো সুচিত্রা ভট্টাচার্যের গল্প! চরিত্রটা কেমন? ঋতুপর্নার সোজাসাপ্টা উত্তর, "সোহিনী আমার চরিত্রের নাম। সে একজন গৃহবধূ হয়েও পরিবার সামলে নিজের সত্ত্বাকে বাঁচিয়ে রাখে। স্বামীর অসুস্থতা, একটা প্রেম, সন্তানের দায়িত্ব, শাশুড়ির প্রতি দায়বদ্ধতা, এই সবটা নিয়ে সোহিনী।"
"চারুলতার প্রেজেন্টেশনটা আমাকে নাড়া দিয়েছিল," বললেন ঋতুপর্ণা। ছবি: শশী ঘোষ
পরিচালকের আসনে অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়, ভাললাগা তো থাকেই? "আসলে অগ্নি ভীষণ স্টাইলিশ পরিচালক। ওর কিছু কিছু কনসেপ্ট আমাকে আনন্দ দেয়। চারুলতা থেকে জার্নিটা শুরু হয়েছিল। চারুলতা প্রেজেন্টেশনটা আমাকে নাড়া দিয়েছিল। নারী হিসাবে নতুন করে আবিষ্কার করেছি নিজেকে। আমার বিশ্বাস 'গহীন হৃদয়ে' সোহিনী চরিত্রেরও অনেকগুলো লেয়ার আছে, সেটা দর্শকরে চোখে পড়বে। দেবশঙ্কর হালদার, কৌশিক সেন- সেই ম্যাজিক ফিরছে পর্দায়। হ্যাঁ! দেবু দা (দেবশঙ্কর হালদার) একজন সাবলীল অভিনেতা, আর কৌশিক সেনের তো জবাবই নেই। সে যেকোন ছাঁচে নিজেকে মানিয়ে নেয়। দুজনেই স্ট্রং থিয়েটারের লোক, তাই অভিনয়ের দিক থেকে মানুষ সমৃদ্ধ হবে। বাকিটা দেখা যাক!"
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর বাড়িতে আড্ডা দিতে দিতে বেরিয়ে এল 'দহন' থেকে 'মিতিন মাসি'র কথা। ছবি: শশী ঘোষ
সুচিত্রা ভট্টাচার্যের লেখায় যে কটা ছবিতে অভিনয় করেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় ছবি কোনটা? (এক মিনিটও সময় না নিয়ে) "'দহন'। ওটা আমার প্রথম ছবি, যা আমাকে জাতীয় পুরস্কার এনে দিয়েছিল। আর একটা 'ইচ্ছে' (ছবিটা প্রেজেন্ট করেছিলেন অভিনেত্রী)। মিতিন মাসি? (হেসে) কথা চলছে। মিতিন মাসি যদি হয় আমি ভীষণ খুশি হব।"