এই মুহূর্তে 'অন্তদৃষ্টি' সিনেমার শুটিং করতে উত্তরাখণ্ডে রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। গোটা টিম নিয়ে সেখানেই রয়েছেন বিগত কয়েকদিন ধরে। দেরাদুন-মৌসুরীতে বাংলা সিনেমার শুটিং টিম যারপরনাই ব্যস্ত। আর এর মাঝেই ঘটে প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা। হিমবাহ ভেঙে তুষারধসে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand Disaster)। রবিবারের তীব্র জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছে বহু গ্রাম। উদ্ধারকার্য এখনও চলছে। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। নিরাপদ স্থানে পৌঁছনোর জন্য বিমানবন্দরেও হুলুস্থুল যাত্রীদের। ঘটনাস্থল চামোলি থেকে যদিও কিছুটা দূরে রয়েছেন তাঁরা, তবে এউ খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই অভিনেত্রী ঘনিষ্ঠরা বেজায় চিন্তায় রয়েছেন। এই বিপর্যয়ের মাঝে কেমন আছে 'অন্তদৃষ্টি' টিম?
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, তাঁরা আপাতত নিরাপদেই রয়েছেন। রবিবার মুসৌরি রোডে শুট চলছিল। কাজের মাঝেই সেই খবর পান। সেখানে সরাসরি কোনও প্রভাব না পড়লেও তুসারধসের খবর শুনে সকলেই একপ্রকার চিন্তিত এবং মর্মাহত। স্বাভাবিকভাবেই বন্ধু-বান্ধবদের ফোন আসা শুরু করে। উপরন্তু অভিনেত্রীর মা-ও ছিলেন সেখানে। এই ঘটনার পর এদিনই মাকে রাতের বিমানে করে কলকাতা পাঠিয়ে দিয়েছেন। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে 'অন্তদৃষ্টি' টিমেরও শহরে ফেরার কথা। ঋতুপর্ণার কথায়, "এবার ভালয় ভালয় সবাই বাড়ি ফিরতে চাই।"
দিন কয়েক আগেই গোটা টিম ঘটনাস্থল চামোলির আরও কাছাকাছি ছিল বলে জানান অভিনেত্রী। সেকথা ভেবেই আপাতত আতঙ্কিত ঋতুপর্ণা। বলছেন, ভীষণ ভয় লাগছে। এই ঘটনার পর ঠান্ডা আরও বেড়ে গিয়েছে এই এলাকায়। আউটডোর শুটিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আপাতত শুধু ইনডোর শুট-ই চলছে।
প্রসঙ্গত, ‘অন্তর্দৃষ্টি’র পরিচালক কবীর লাল, যিনি কিনা ‘তাল’, ‘পরদেশ’-এর মতো বলিউড ছবির সিনেম্যাটোগ্রাফার ছিলেন। এই সিনেমাটি বাংলা, মারাঠি, তামিল ও কন্নড়- এই ৪টি ভাষায় তৈরি হচ্ছে। ছবিতে ঋতুপর্ণা ছাড়াও রয়েছেন শন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী। প্রথমটায় শুটিংয়ের পরিকল্পনা ছিল সুইৎজারল্যান্ডে। তবে অতিমারির কারণে সেই পরিকল্পনা মাটি হলে, পরে উত্তরাখণ্ডকে লোকেশন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।