Rituparna Sengupta: বছর শুরুতেই একের পর এক মৃত্যুমিছিল, গতবছর শেষ পর্যন্ত অনেককে হারিয়েছে ভারতবর্ষ। ভারতীয় সিনেমার পায়োনিয়ারদের থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ, অনেক মৃত্যু দেখেছে বাংলা। এখানেই শেষ না। বছরের শুরুতে আবার, অরুণ রায় এবং প্রীতিশ নন্দী।
অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত যেন এত মৃত্যু মেনে নিতেই পারছেন না। তাই তো ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময় গলা ধরে এল তাঁর। প্রীতিশ বাবু প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই, তিনি যেন চারপাশের পরিস্থিতি দেখে হতবাক। অভিনেত্রী বর্তমানে রয়েছেন প্যারিসে। বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে পুরাতনের একটি বিশেষ উৎসবের জন্য তাঁর সেখানে যাওয়া। কিন্তু, এত কিছুর মধ্যেও যেন চারপাশের কিছু ভাল নেই।
প্রীতিশ নন্দীর ( Pritish Nandy ) সঙ্গে কিছুদিন আগেই তাঁর দেখা হয়েছিল। অভিনেত্রী বললেন, উনার সঙ্গে কাজ করা হয়নি। কিন্তু, উনি যখন দেখতেন তখন আমার কাজের প্রশংসা করছেন। বারবার বলেছিলেন, আমার সঙ্গে খুব কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে উনার, কিন্তু যাই হোক সেটা সম্ভব হয়নি। এমন একজন দূরদর্শী মানুষের চলে যাওয়া তাঁকে কষ্ট দিয়েছে। কিন্তু তাঁর থেকেও বেশি তিনি ভারাক্রান্ত তাঁর মায়ের চলে যাওয়ায়।
আরও পড়ুন - Nipun Akhter: শেখ হাসিনা ঘনিষ্ঠ নায়িকার বিরাট বিপদ! বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার নিপুণ...
অভিনেত্রীর মা মারা গিয়েছেন কিছুদিন আগেই। বহু চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু এভাবে যে মা আর ফিরে আসবেন না ফাঁকি দিয়ে চলে যাবেন, তিনি ভাবতেও পারছেন না। অভিনেত্রীর কথায়, আমি আজও আমার মায়ের মৃত্যুটা মেনে নিতে পারছি না। মা কোনোদিন হাসপতালে থাকতে চাইতেন না। সবসময় বাড়ি আসতে চাইতেন। বাবা ১৪ বছর আগে, চলে গিয়েছেন। মাকে নিয়ে আসতে পারলাম না, এটাই আমার কাছে সবথেকে বড় আক্ষেপ। বলতে বলতেই গলা ধরে এল তাঁর...
অভিনেত্রী, নানা জায়গায় ঘুরছেন মনে কষ্ট নিয়ে। এদিক ওদিক যাচ্ছেন। কেউ হয়তো তাঁর পোশাক দেখে এমনও বলছেন যে এই তো সেদিন মা মারা গেল, তাঁর মধ্যে এই? অভিনেত্রী একান্ত আলাপে বললেন, "আমাদের জীবনটা এমন যে শো মাস্ট গো অন..."মি হয়তো যাচ্ছি অনেক জায়গায়। মুখে হাসি নিয়ে সব করছি, কিন্তু মনের ভিতরে যা চলছে সেটা তো বুঝতে পারছে না কেউ। বছরের শেষে শ্যাম জি চলে গেলেন। তারপর, এই বছরের শুরুতে অরুণ দা, প্রীতিশ দা। আমার কজন আত্মীয় রয়েছেন, যারা LA তে থাকতেন, তাঁদের বাড়ি পুড়ে গিয়েছে সেদিনের দাবানলে, কী খারাপ অবস্থা। এগুলো যে কেন হচ্ছে?"
উল্লেখ্য, আসন্ন তাঁর রিলিজ পুরাতন। এই ছবিতে তিনি প্রযোজক এবং শর্মিলা ঠাকুর কাজ করছেন এই ছবিতে। শেষ তাঁকে দেখা গিয়েছে, অযোগ্য ছবিতে। যেখানে তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গে ৫০ তম ছবিতে জুটি বেঁধেছেন তিনি।