সেদিন কি তবে শ্যামবাজারের বুকে ঠিক হয়েছিল? গতকাল যে দৃশ্য রেড রোডে দেখা গিয়েছে, তারপর থেকে এমনই প্রশ্ন উঠছে। কেন? একদিকে যেমন দ্রোহের কার্নিভালে মানুষ দলে দলে যোগ দিয়েছেন। ঠিক তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলবল নিয়ে বিসর্জনের কার্নিভালে আনন্দ করতে ব্যস্ত ছিলেন।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এক তারকাকে নিয়ে। অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, যিনি শ্যামবাজারে গিয়ে এমন এক হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন, তাতে অনেকেই তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন। একজন অভিনেত্রী হিসেবে না, বরং একজন মহিলা হিসেবে যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির তিনি মোকাবিলা করেছিলেন। যেভাবে তাঁকে ধাক্কা মারা হয়েছিল। কিংবা তাঁর গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছিল, তাঁতে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
কিন্তু, গতকাল যা হয়েছে, তারপর যারা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তারাই যেন রেগে আগুন। গতকাল পুজো কার্নিভালে ঋতুপর্ণাকে দেখা গিয়েছিল নৃত্য পরিবেশন করতে। পরনে রানী রঙের শাড়ি, সেজেগুজে প্রতিবারের মতো এবারও তিনি পারফর্ম করলেন। আর তাঁকে নাচতে দেখেই রেগে আগুন বেশিরভাগ। যিনি প্রতিবাদে থাকবেন, তিনি আবার কার্নিভালে যোগ দিয়ে নাচবেনও? এতেই আপত্তি রয়েছে আম জনতার।
অভিনেত্রীকে নাচতে দেখে, বেশিরভাগ এমনই বলছেন, "উনি নাচলেন বটে! তবে শঙ্খ বাজালেন না কেন?" আবার কেউ বলছেন, "যে দিন ওনাকে গো ব্যাক স্লোগান দিয়েছিল, সেইদিন ওনার মুখ টা দেখে একটু খারাপ লেগেছিল। আজ মনে হচ্ছে একদম সঠিক কাজ করা হয়েছিল সেদিন।" আবার কারওর কথায়, গাছের খায় এবং তলারও কুড়ায়।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্টেজে উপস্থিত ছিলেন অনেক তারকাই। জুন মালিয়া থেকে সায়নী ঘোষ, রচনা বন্দোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা, নুসরত ছাড়াও অনেকে। কিন্তু অভিনেত্রী যে সেদিন, ওখান থেকে ধিক্কার এবং গো ব্যাক স্লোগান শুনেছিলেন, সেটি ভীষণ যুক্তিযুক্ত একথাই তাঁরা মনে করেছেন। তাঁরা এও বলছেন, "এ তো শুধু ফুটেজ খাওয়ার জন্যে সব চটি চাটে। চলুন এনাকে সবাই মিলে চটি অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হোক। সেদিন পাবলিক এনাকে তাড়িয়ে ঠিকই করেছিল।"