কিছুদিন আগেই নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন। লিখছেন কবিতা। কলকাতায় তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দুঃস্থ মানুষদের জরুরী পরিষেবা দিতে ব্যস্ত, খেয়াল রাখছেন সে দিকেও। কিন্তু সবটাই সিঙ্গাপুরে বসে।
শহর কলকাতা থেকে দূরে সিঙ্গাপুরে পরিবারের সঙ্গেই লকডাউন কাটছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। সেখান থেকেই মা এবং শাশুড়ি মায়ের খোঁজ খবরও নিচ্ছেন নিয়মিত। লকডাউনে নিজেকে কিছুটা সময়ও দিতে পারছেন নায়িকা।
এদিন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার প্রতিনিধিকে জানালেন, পরিবারের সঙ্গে একসঙ্গে কাটানোর সময় হয় না খুব একটা। লকডাউন সেই সুযোগটা করে দিয়েছে। সারা দুপুর প্রায় লেখেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। মেয়ের সঙ্গেও অনেকটা সময় কাটাচ্ছেন।
আরও পড়ুন, বাংলা থিয়েটারে পুরুষতন্ত্রের বিপ্রতীপে দাঁড়িয়েছিলেন ঊষাদি: দেবেশ
ঋতুপর্ণা বললেন, ''মনের জানালা বলে একটা অনুষ্ঠান করব ইউটিউবে, সেটার প্রস্তুতি চলছে। তাছাড়া মেয়ের সঙ্গে ছবি আঁকছি। দুজনে একটা ডান্সও কোরিওগ্রাফ করছি। দেখি কী হয়।''
যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে, নায়িকা কিন্তু পারদর্শী রান্নাতেও। তিনি বললেন, ''প্রথম বার চিকেন কাটলেন বানালাম। ভালই হয়েছিল (হাসি)। সবাই মিলে একসঙ্গে বসে সিনেমা দেখছি। এই তো গতকাল রাতে আবার জয় বাবা ফেলুনাথ দেখলাম। কিন্তু এক্ষেত্রে একটা সমস্যা আছে। সঞ্জয়ের থ্রিলার পছন্দ আর আমি একটু রোমান্টিক ছবি দেখতে ভালবাসি।''
''আজই যেমন ফোনটা রেখে রান্না ঘরেই যাব। সঞ্জয় একটু কিমা আর রুটির আবদার করেছে। বলেছে, এবার ওঠো অনেকক্ষণ লিখেছ (হাসি) '', বললেন টলিউডের ব্যস্ততম নায়িকা। সত্যিই তো এই মূহুর্তগুলোই তো মনে থেকে যায়।
আরও পড়ুন, বাঙালিরা যে বিশেষ ৩টি কারণে দেখবেন নেটফ্লিক্স-ছবি ‘এক্সট্র্যাকশন’
তবে এ সবের মাঝেও মনটা খারাপ অভিনেত্রীর। বললেন, ''কেন জানিনা মনে আজ মহিনের ঘোড়াগুলির গানটা প্রযোজ্য মনে হচ্ছে। প্রকৃতির উপর বড্ড বেশি অত্যাচার করেছি আমরা। এবার হয়তো নিজেকে রেজুভিনেট করছে প্রকৃতি।''
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন