ঋতুপর্ণ ঘোষ মানেই একদম অন্য ধরনের ছবি। ঋতুপর্ণ ঘোষ মানেই, এমন কিছু যা মানুষের বাস্তবের জীবনের সঙ্গে দারুণ খাপ খেত। সাধারণত অন্য ধরনের ছবি বানাতেন তিনি। তাঁর ছবি বোঝার ক্ষমতা অনেকেরই ছিল না। কিন্তু, এমন কিছু ছবি তিনি বানাতেন, যেগুলি বহু বহু জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। শুধু তাই নয়, পেয়েছে নানা ধরনের সমালোচনাও।
রবিবাসরীয় আসরে, দেখে নেওয়া যাক, এমন কোন কোন ছবি আছে, যেগুলি দেখলে, একটুও রিগ্রেট হবে না? দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন ছবিগুলো ঋতুপর্ণ ঘোষের কাল্ট ছবি হিসেবে বিবেচিত।
১৯শে এপ্রিল: অপর্ণা সেন, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দেবশ্রী রায় অভিনীত এই ছবি কাল্ট ক্লাসিক। ১৯৯৪ সালে এই ছবি বানানো হয়। এবং এই ছবি দুটো জাতীয় পুরস্কার পায়। একজন নৃত্যশিল্পী এবং তাঁর মেয়ের এই গল্প। এই ছবি দারুণ সফল হয়।
Ankush Hazra: চোখের সামনে ধোঁয়াশা, যা দেখেছিলেন অঙ্কুশ! ভয়ে গলা জড়ি…
দহন: এই ছবি একদম বাস্তবের ঘটনা অবলম্বনে। মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে। সেরা চিত্রনাট্যের জন্য এই ছবি জাতীয় পুরস্কার পায়। কলকাতার এক রাস্তায় এক মহিলা শ্লীলতাহানির শিকার হয়, এবং তাঁর বাস্তবের জীবন একেবারেই বদলে যায়। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে গিয়ে সমাজের কোন কোন সমস্যায় পড়তে হয় তাঁকে, এই নিয়েই ছবি।
বাড়িওয়ালী: ২০০০ সালে, বাড়িওয়ালী ছবিতে কাজ করেন, কিরণ খের, সুদীপ্তা চক্রবর্তী এবং চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। এই ছবিতে কিরণ খের অভিনয় করেছিলেন, এক বিধবার চরিত্রে। এই ছবি দারুণ পছন্দ হয় সকলের।
উৎসব: ২০০০ সালে সেরা পরিচালক হিসেবে তিনি পুরস্কার পান উৎসব ছবির জন্য। দুর্গা পুজোর প্রেক্ষাপটে তৈরি এই ছবি, বাঙালির মনে জায়গা করে নিয়েছিল। শুধু তাই নয়, পুজোর আসরে বাড়ির সকলের ফিরে আসা এবং তারপর বাড়ি বিক্রি নিয়েই তৈরি এই ছবি।
তিতলি: মিঠুন চক্রবর্তী, অপর্ণা সেন, কঙ্কনা অভিনীত এই ছবি, দারুণ জনপ্রিয় হয়। এই ছবিতে মা মেয়ের সম্পর্ক ছাড়াও নীরব যে বোঝাপড়া, সেটাও দেখা গিয়েছে। ১৭ বছরের মেয়ে তিতলির ক্রাশ রয়েছে মিঠুন অর্থাৎ রোহিত রায়ের প্রতি। সেই নিয়েই এই ছবি। রোহিত তাঁর দ্বিগুণ বয়সের, কিন্তু এই ছবি সব প্রোটোকল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।