ঋত্বিক চক্রবর্তী, এই মুহুর্তে টলিউডের সবথেকে ডিমান্ডিং অভিনেতা। রোমান্স থেকে থ্রিলার, আবার ধরুন কমেডি- অবাধে যাতায়াত করেন সর্বত্র। তবুও সমালোচনা থেমে থাকেনি। পরপর ছবি করার দৌলতে এখন কেউ কেউ বলতে শুরু করেছেন, ঋত্বিককেও কেমন একঙঘেয়ে লাগে। যে যা বলে বলুক, পর্দায় আপনি আপন বলে বলীয়ান। মঙ্গলবার, অভিনেতার জন্মদিন। ৪২টি বসন্ত পেরিয়ে জন্মদিনে ফিরে দেখা তাঁর অভিনীত সেরা কিছু ছবি।
ঋত্বিক চক্রবর্তীর শেষ মুক্তি পাওয়া ছবি বরুণবাবুর বন্ধু। তবে এত ছবিতে অভিনয় করলেও ঋত্বিক নামটা বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কিছু সিনেমার দৃশ্য। তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে বাকিটা ব্যক্তিগত। যদিও এই ছবির মূল্যায়ণ হয়েছিল অনেক পরে। জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে যাওয়ার পরই প্রকাশ্যে এলেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। প্রতিষ্ঠিত ভাবনাকে আঘাত করে এই ছবি। তথ্যচিত্রের আঙ্গিকে বানানো এই ছবির পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের শব্দ ভুলে যাওয়া যায় কি করে! সমালোচকদের প্রশংসার কুড়িয়েছিল এই ছবিতে ঋত্বিকের অভিনয়। বার্বেরিয়ান সাউন্ড স্টুডিয়োর সঙ্গে সাউন্ডের নিরিখে শব্দ-এর সাইকোলজিক্যাল ইমপ্যাক্ট থাকলেও এ ছবি একেবারেই ভিন্ন। এক ফলি আর্টিস্টের জীবনগাথা চিত্রনাট্য রূপে দেখিয়েছিলেন পরিচালক। ঋত্বিক হাড়হিম করেছিলেন অভিনয়ে।
বিভিন্ন ছবির চরিত্রে ঋত্বিক চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন, কোথাও রতনবাবুর নাম ছিল না, কিন্তু আমি ওঁর পাশে দাঁড়াতে চাই: বাদশা
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নিবার্ক, এক্কেবারে অন্যরকম চরিত্রে দেখা গিয়েছিল ঋত্বিককে। মর্গে কাজ করে এমন এক মানুষের জার্নিই ছিল তাঁর চরিত্রে। বৌদ্ধায়ন মুখোপাধ্যায়ের দ্য ভায়োলিন প্লেয়ার-এর কথা না বললেই নয়। কলকাতা চলচ্চিত্র উত্সবে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। বাহবাও পেয়েছিল অজস্র।
এরপরের যে ছবিটা চক্ষু বিস্ফারিত করে দিয়েছিল তা নগরকীর্তন। মাঝে সমুদ্র দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে, মানে এবার শবর, তারিখ, রঙ বেরঙের কড়ি-র মতো বহু ছবি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নগরকীর্তন যতটা ঋদ্ধির ছবি ঠিক ততটাই ঋত্বিকেরও। বিশেষ করে শেষ দৃশ্য শিউরে ওঠার মতো।
লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট- জ্যেষ্ঠপুত্র। ছবিটা সেভাবে না চললেও প্রশংসিত হয়েছিলেন ঋত্বিক। এমন বহু ছবি রয়েছে যেগুলোকে এক লহমায় নিজের বানিয়ে নিয়েছেন অভিনেতা। ঋত্বিক এমনই এক অভিনেতা, পর্দায় আসলেই বাজিমাত। নিমেষে বদলে যায় পরিস্থিতি।জন্মদিনে অনেক শুভেচ্ছা ঋত্বিক চক্রবর্তী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন