গত ৭ মে রাজ্যের শাসকদলের মন্ত্রী-বিধায়কদের গ্রেপ্তারের আবদনে শীলমোহর বসিয়েছিলেন জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar)। সোমবার ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা হলেও সন্ধে নামতেই, চার জনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মন্তব্য, "রাজ্যপালের অনুমোদন ধোপে টিকলো না।" পাশাপাশি আজ দিনভর রাজ্য-কেন্দ্র সংঘাতের নেপথ্যে উঁকি মেরেছে একটাই নাম- জগদীপ ধনকড়। অতিমারী পরিস্থিতিতে যেখানে আমজনতার প্রাণ সংশয়, অক্সিজেন-বেডের হাহাকার রাজ্যজুড়ে, সেই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ নিয়ে রাজ্যপাল কেন একটি শব্দও খরচ করলেন না, উল্টে নিজাম প্যালেসের বাইরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখানোয় রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)? সেই প্রশ্ন অনেকেই তুলেছেন। বিদ্রুপ করতে পিছপা হননি নেটজনতার একাংশও। সেই বিষয়েই এবার রাজ্যপালকে 'পরোক্ষ খোঁচা' দিলেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwick Chakraborty)।
Advertisment
খানিক রসিকতার ছলেই ঋত্বিকের পোস্ট, "এটা কি অপমান? উনি কি অপমানিত?" অভিনেতার এমন কৌতুকরসে মজেছেন অনুরাগীরাও। কেউ কেউ আবার ধনকড়কে বিঁধে এও মন্তব্য করে ফেলেছেন যে, "ওনাকে অপমান ভ্যাক্সিন দেওয়া উচিত, আর কত সহ্য করবে ওনার হৃদয়।" কারও বা আবার মন্তব্য, "ওনাকে দেখে অপমান নিজেই অপমানিত বোধ করছে।" কেউ আবার ঠাট্টা করে এও বলে ফেললেন যে, "উনি একটা রাজ্যের লজ্জা! পদ্মপাল অপমানিত হওয়ার সীমা পার করে গেছেন।"
তবে নেটজনতার একাংশ আবার ঋত্বিককে ছেড়েও কথা বলেননি। পরোক্ষভাবে অভিনেতাকে কটাক্ষ করে এক নেটজনতার মন্তব্য, "লজ্জাটা তাঁদের যাঁরা চোরদের জামিন দিল.." সেই সমালোচনাও অতি সুচারুভাবে সামলেছেন অভিনেতা। তাঁর উত্তর, "লজ্জা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে। এখন অপমান নিয়ে কথা বলছি।"