'গু কাকু'! নোংরা, সমাজবর্জিত একটা শব্দ। যাকে ভদ্র ভাষায় আজকাল 'পটি' বলেই সম্বোধন করা হয়। আর সেই বিষয় নিয়েই কিনা আস্ত একটা সিনেমা! অবাক লাগলেও সত্যি। টলিউডে এমন অভাবনীয় ভাবনা ভেবেছেন পরিচালক মনীষ বসু। কাস্টিংও কেতাদূরস্ত। ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwick Chakraborty), পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Paran Badyopadhyay)। আর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে বাংলাদেশের অভিনেতা মোশারফ করিম ( Mosharraf Karim)।
Advertisment
সিনেমার পুরো নাম- 'গু কাকু, দ্য পটি আঙ্কল' (Gu Kaku, The Potty Uncle)। পরিচালক ছবির গল্প এখনই ভাঙতে নারাজ হলেও বিষয়বস্তু সম্পর্কে আন্দাজ করাই যায় টাইটেল শুনে। 'মেথর' পেশাটি সমাজে এখনও সম্মান কুড়োতে না পারলেও, সমাজের আবর্জনা অপরিচ্ছন্নতা দূরীকরণে এঁদের যে কী অপরিসীম গুরুত্ব, তা বোধহয় বিশেষভাবে উল্লেখের প্রয়োজন। সমাজের মন-মানসিকতার ঘুম ভাঙাতে। সেই কারণেই এই সিনেমা। অথচ, এই গু-কাকুরা না থাকলে যে কী কেলেঙ্কারি হতে পারত, তা কারোরই অজানা নয়।
সমাজে অসম্মানের এক পেশার, এক ব্রাত্য-প্রান্তিক মানুষের নিত্যদিনের লড়াইয়ের কাহিনি বলতেই মনীষের ছবি 'গু কাকু, দ্য পটি আঙ্কল'। স্যাটায়ার-ধর্মী ছবি। যার মাধ্যমে খোঁচা দেওয়া হবে সেইসমস্ত মন-মানসিকতাকে যাঁরা আজও সমাজের 'মেথর' পেশাটিকে অসম্মান করেন। কিন্তু এমন কাস্টিংয়ে 'গু কাকু'টি কে? সেই চরিত্রে অভিনয় করছেন মোশারফ করিম। গল্পের প্রোটাগনিস্ট তিনি। তবে পরাণ কিংবা ঋত্বিককে কেমন ভূমিকায় দেখা যাবে, তা এখনও খোলসা করতে নারাজ নির্মাতারা।
এছাড়াও সোশ্যাল স্যাটায়ার ধর্মী এই সিনেমায় দেখা যাবে তনুশ্রী চক্রবর্তী, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়, মিশকা হালিমের মতো দক্ষ অভিনেতাদের। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিকায় সাজানো হয়েছে ছবির চিত্রনাট্য। এক মফস্বল অঞ্চল। সেখানেই থাকেন সমাজের প্রান্তিক মানুষ গু-কাকু।
ছবির প্রযোজক জয় বি গঙ্গোপাধ্যায়। যিনি এর আগে 'ভূতের ভবিষ্যৎ', 'বং কানেকশন'-এর মতো একাধিক সিনেমার প্রযোজনা করেছেন। 'ভূতের ভবিষ্যৎ-এর দশ বছর উপলক্ষেই এই নতুন সিনেমার ঘোষণা করেছেন প্রযোজক। উল্লেখ্য, এই ছবির সুবাদেই টলিপাড়ায় পরিচালক হিসেবে শিকে ছিঁড়তে চলেছেন মনীষ বসু। যে সিনেমা সমাজের বিভিন্ন স্তরের কথা বলবে। যা কিনা অতিমারী আবহেও ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক। আগামী ফ্রেব্রুয়ারি মাস থেকেই শুরু হবে 'গু কাকু, দ্য পটি আঙ্কল'-এর শুটিং।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন