/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/08/riya-2025-10-08-15-30-24.jpg)
চলে গেলেন কাছের মানুষ...
সম্পর্ক কি এত সহজে ভাঙ্গা যায়? নিশ্চয়ই না। অন্তত বাংলার অভিনেত্রী রিয়া গাঙ্গুলি এটাই বুঝিয়ে দিলেন সম্পর্কের মায়া বুঝতে রক্ত লাগে না। বরং লাগে মানসিকতা। নাহলে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ এবং মুখ দেখাদেখি বন্ধ হলেও তাঁর শাশুড়ির শেষ যাত্রায় তাঁকে ফেলতে পারলেন না। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক তো দূর, বরং তাঁর নাম শুনতেও দ্বিধা বোধ করেন তিনি। কিন্তু শাশুড়িমা, তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে নিজেকে থামিয়ে রাখতে পারলেন না তিনি।
বর্তমানে তিনি সন্তানদের নিয়ে একলা থাকেন। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন পরকীয়ার। তাঁর সঙ্গে আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক হলেও যেদিন তাঁর শাশুড়ির মৃত্যুর খবর পেলেন সেদিন থেকে সব দায়িত্ব মাথা পেতে নিলেন তিনি। তাঁর স্বামীর মা হওয়ার পরও তাঁকে যেন একা ফেলে দিতে পারেলেন না। কিন্তু, রয়ে গেল আফসোস। রিয়া সমাজ মাধ্যমে জানালেন সেই কথাই। তিনি জানান, পুজোর সময় তাঁর বাবার কাছ থেকে ফোন পেয়েই জানতে পারেন শাশুড়ি মা আর নেই।
তাঁর কথায়, "এই বছর তৃতীয়ার সকাল এ হটাৎ আমার বাবার ফোন পেলাম এবং জানতে পারি আমার শাশুড়ি মারা গেছেন , আমার মা বাবা আমায় একটাই কথা বললেন, এই মুহুর্ত্তে তোমার সব একপাশে সরিয়ে রেখে নিজের কর্তব্য পালন করা উচিত, কারণ ভুলে যেয়ো না এই দিন তোমার ও আসবে মা | মুহূর্ত্তের মধ্যে সব বদলে গেল। ঈশ্বর এর কি অদ্ভুত খেলা তোমায় দেখতে হাসপাতাল সবার আগে আমি গিয়ে পৌঁছলাম সেইসঙ্গে তোমার ডেথ সার্টিফিকেট এ স্বাক্ষর ও আমায় করতে হলো। পারলাম না দায়িত্ত্ব এড়াতে - পারলাম না নিজের ইগো-কে জেতাতে পারলাম না, এই যন্ত্রনা ভাগ না করে থাকতে। ভাগ্যের কি অদ্ভুত পরিহাস আইনি জটিলতায় দাঁড়িয়ে থাকা সম্পর্ক হঠাৎ করেই সব থমকে দিলো।"
এখানেই থামলেন না তিনি। তাঁর শাশুড়ি নাকি এও বলেছিলেন, তিনি সবটা ঠিক করে দেবেন। কিন্তু কিছুই করতে পারলেন না। তাঁর কথায়, "তোমার শেষকৃত্য করার সময় সব বিবাদ- রাগ দুঃখ ,আইনি লড়াই , তথা অংহকার এক নিমিষে পুড়ে ছাই হয়ে যেতে দেখলাম !! শেষ যেদিন তোমার সাথে আমার কথা হয়েছিলো ২২জুলাই তুমি বলেছিলে আমি সব ঠিক করে দেবো শুধু তুমি ফিরে এসো ... আমার একটাই আফসোস তুমি শেষ সময় রিকু রাহি কে কাছে পেলে না আর। তার জন্য আমায় সারাজীবনের জন্য অপরাধী বানিয়ে গেলে। এই মানসিক যন্ত্রনা তোমার প্রাপ্য ছিলো না।"
শাশুড়ির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে এও জানিয়েছেন যে দায়িত্ব তিনি পেয়েছেন সেটা যেন পালন করতে পারেন। বারবার দাবি করেছেন যেন, অন্যায় - ভুল যেন ক্ষমা করেন তিনি।