Advertisment

সিঙ্গল স্ক্রিনেই জিরোকে টক্কর রসগোল্লা-র

বেশি লাভের আশায় শহরের বেশিরভাগ সিঙ্গল স্ক্রিনই হাত বাড়িয়েছিল জিরোর দিকে। কিন্তু ছবি মুক্তির দুদিনের মধ্যেই পাশা উলট-পালট হয়ে গিয়েছে। রসগোল্লার মিষ্টিতে সাইড লাইন হতে হল জিরোকেই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রসগোল্লা বনাম জিরোর তরজায় এগিয়ে গেল বাংলাই।

বড়দিনে বাংলার মানুষ কেকের সঙ্গে রসগোল্লাও চুটিয়ে খেয়েছেন। একথা বলছে শহরের সিঙ্গল স্ক্রিনগুলো। ২৫ ডিসেম্বর সারাদিন পাভেলের রসগোল্লায় মেতে থাকল শহরবাসী। প্রত্যেকটা সিঙ্গল স্ক্রিনের সিটের অঙ্ক বলছে রসগোল্লার প্রতিটা শোই হাউসফুল ছিল। অথচ ছবিটা মুক্তি পাওয়ার আগে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ সিঙ্গল স্ক্রিনই পাননি উইন্ডোজ। ২১ ডিসেম্বর রিলিজ হয়েছিল শিবপ্রসাদ-নন্দিতা প্রযোজিত ছবি রসগোল্লা। আর সেই দিনই মুক্তি পায় শাহরুখ খানের জিরো। যা মুখ থুবড়ে পড়েছে বক্সঅফিসে।

Advertisment

জিরোর কারণে রসগোল্লা-কে হল দেয়নি সিঙ্গল হলমালিকরা। এহেন অবস্থায় খোদ কিং খানের শরণাপন্ন হয়েছিল টিম রসগোল্লা। তাতেও কাজ হয়েছিল না। একে বড় তারকা তায় শাহরুখ, কার্যত সাইড লাইন হয়ে গিয়েছিল রসগোল্লা। বেশি লাভের আশায় শহরের বেশিরভাগ সিঙ্গল স্ক্রিনই হাত বাড়িয়েছিল জিরোর দিকে। কিন্তু ছবি মুক্তির দুদিনের মধ্যেই পাশা উলট-পালট হয়ে গিয়েছে। রসগোল্লার মিষ্টিতে সাইড লাইন হতে হল জিরোকেই।

আরও পড়ুন, হল পাচ্ছে না ‘রসগোল্লা’, শাহরুখের কাছে আবেদন উইন্ডোজের

আসলে, বাঙালি জাতিটার প্রতিশব্দ হওয়া উচিৎ মিষ্টির নামে। রোগ-ভোগ কুছ পরোয়া নেহি! সামনে মিষ্টি দেখতে পেলে আর কোনদিকে মন যায়না তাদের। আর যে মানুষটা বাঙালিকে বিশ্বের দরবারে পরিচিতি দিয়েছে তাঁর কীর্তির মাধ্যমে, যাঁর নাম অধিকাংশ বাঙালি জানেন, তিনি নবীন চন্দ্র দাশ। তবে এই উদ্যোগপতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকায় একটা চাপা কৌতুহল ছিলই। পাভেল অতি যত্নসহকারে পর্দায় রচনা করেছেন বৈকুন্ঠভোগ, রূপচাঁদপক্ষী, আমসন্দেশের জনককে।

Advertisment

আরও পড়ুন, বেপরোয়া ইচ্ছা, অদম্য জেদ ও মিষ্টি প্রেমে তৈরি ‘রসগোল্লা’

এদিন উইন্ডোজের তরফে জানানো হয়েছে বিজলি, জয়া, ইন্দিরা, প্রাচীর মতো সিনেমা হল তো বটেই কোনও কোনও মাল্টিপ্লক্সের আশাতীত টিকিট বিক্রি হয়েছে। বক্সঅফিসের রেটিংয়ে ৯০ শতাংশ মানুষ ভালবাসছেন রসগোল্লা। পাভেলের এই ছবিই জানান দিল চিত্রনাট্যই শেষ কথা।

tollywood
Advertisment