আবার দর্শকের মাঝে ফিরছেন তাদের প্রিয় কালিকা দা, সূত্র 'রসগোল্লা'। একবছর আগে কালিকাপ্রসাদের মৃত্যুর পর মুক্তি পেয়েছিল কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসর্জন। তখন জানা গিয়েছিল এটাই হয়তো কালিকার শেষ কাজ।
কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের অকাল প্রয়াণ এখনও মেনে নিতে পারেননি দু পারের বাঙালি। আজও কালিকার কাজ হিসেবে হেডফোনে লুপে চলতে থাকে বিসর্জনের গান, ভুবন মাঝির সুর। আবার দর্শকের মাঝে ফিরছেন তাদের প্রিয় কালিকা দা, সূত্র 'রসগোল্লা'। একবছর আগে কালিকাপ্রসাদের মৃত্যুর পর মুক্তি পেয়েছিল কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের বিসর্জন। তখন জানা গিয়েছিল এটাই হয়তো কালিকার শেষ কাজ। তবে রসগোল্লার পরিচালক পাভেলের কথায়, কালিকাদাকে বলেছিলেন ছবিটায় ১৮৬০ সালের সাউন্ডস্কেপ রাখতে চাইছি, তাই এরকম কোনও বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করব না যা তারপরে আবিষ্কার হয়েছে। কালিকাদা বলেছিল, খুবই কঠিন কাজ তবে করতে পারলে মজা আছে।
Advertisment
কাজটা শুরু করলেও শেষ করে যাওয়া হলনা। 'খোদার বান্দা' -র ফিরে এসে কাজটা শেষ করার কথা ছিল। সেই কথা আর রাখা হয়নি। এদিন টিম রসগোল্লা প্রকাশ করল কলিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের গান তৈরির নেপথ্য দৃশ্য।
রসগোল্লার গান টাপুর টুপুর-এর পর মুক্তি পেয়েছিল ‘রসগোল্লা অ্যান্থেম’। রসে বশে থাকা বাঙালির সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে এই গান। অনুপম রায়ের কম্পোজিশনে গানটি গেয়েছেন অর্ক মুখোপাধ্যায় ও অনুপম নিজে। ছবির গল্প দানা বাঁধে নবীনচন্দ্র দাস ও তার পত্নী ক্ষীরোদমনিকে নিয়ে। ক্ষীরোদমনি ভোলা ময়রার নাতনি। বাংলায় রসগোল্লা আবিষ্কারকের কাহিনিই এই ছবির প্লট। দুই প্রধান চরিত্রেই রয়েছেন উজান ও অবন্তিকা। তবে কালিকাপ্রসাদের চলে যাওয়ার আপেক্ষটা অন্যদের মতো রয়ে গেছে পাভেলরও। খানিকটা কষ্ট চেপেই বললেন, "গানগুলো পড়ে রইল, কালিকাদা চলে গেল।"