নবীন চন্দ্র দাশের কীর্তি এবার পৌঁছে গেল জাতীয় স্তরে। রসগোল্লার স্বাদ চেখে দেখার সুযোগ পাবে কলকাতার বাইরের মানুষও। ভাবছেন হেঁয়ালি করছি? রসগোল্লা ভারত কেন বিশ্বের লোকের কাছে অনেক আগেই পৌঁছে গিয়েছে। এতে আর নতুন কী? তাহলে খুলে বলা যাক। পাভেলের 'রসগোল্লা'র স্বাদ এবার পেতে চলেছে কলকাতার বাইরের মানুষেরা। কারণ জাতীয় স্তরে মুক্তি পেল 'রসগোল্লা'।
দিল্লি, নয়ডা, বেঙ্গালুরু, পুণে, হায়দরাবাদ সর্বত্র মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। ১৮ জানুয়ারি থেকে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে এই ছবি। সূত্রের খবর, শনিবার বেঙ্গালুরুতে হাউজফুল ছিল শো, রবিবারও মানুষ অগ্রীম বুকিং করে রেখেছিল এই ছবির। তবে ২১ জানুয়ারী হায়দরাবাদে মুক্তি পাচ্ছে রসগোল্লা।
আরও পড়ুন, ”প্রাক্তনদের সত্যিই ভালবেসেছিলাম, কিন্তু সম্পর্কগুলো ব্যর্থ হয়েছে”
রসগোল্লা ছবির গল্প দানা বাঁধে নবীনচন্দ্র দাশ ও তার পত্নী ক্ষীরোদমনিকে নিয়ে। ক্ষীরোদমনি ভোলা ময়রার নাতনি। বাংলায় রসগোল্লা আবিষ্কারকের কাহিনিই এই ছবির প্লট। দুই প্রধান চরিত্রেই রয়েছেন উজান ও অবন্তিকা। কিশোর নবীন চন্দ্র দাস মিষ্টি বানায়, কিন্তু সবটা গুলিয়ে যায় চোখের সামনে ক্ষীরোদমণিকে দেখলে। অবন্তিকা ও উজানের প্রথম ছবি এটি। প্রসঙ্গত, ১৫০ বছর পূর্ণ করেছে বাঙালির রসগোল্লা।
আসলে, বাঙালি জাতিটার প্রতিশব্দ হওয়া উচিৎ মিষ্টির নামে। রোগ-ভোগ কুছ পরোয়া নেহি! সামনে মিষ্টি দেখতে পেলে আর কোনদিকে মন যায়না তাদের। আর যে মানুষটা বাঙালিকে বিশ্বের দরবারে পরিচিতি দিয়েছে তাঁর কীর্তির মাধ্যমে, যাঁর নাম অধিকাংশ বাঙালি জানেন, তিনি নবীন চন্দ্র দাশ। তবে এই উদ্যোগপতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকায় একটা চাপা কৌতুহল ছিলই। পাভেল অতি যত্নসহকারে পর্দায় রচনা করেছেন বৈকুন্ঠভোগ, রূপচাঁদপক্ষী, আমসন্দেশের জনককে।